বাল্যসহচর : রাণু সরকার।

অতীতের ছোট ছোট বাল্যসহচর জমায়েত হয় মনের কুটিরে,
অনেক কিছু পাওয়ার ছিলো, কিন্তু হলো না তা পূরণ।
কাজের তালিকায় কেমন করে তাকে বন্দি করবো ভাগ্যের নদীটির এতো কল্লোল।

কিকরে যে বাতাসে ভেসে এলাম ভাবনাতে নেই, অবশেষে পেলাম নিরাপদ ক্ষীরসমুদ্র, হয়তো আমার জন্য শূন্য রেখেছিলেন জঠর দেশের মধ্যাংশ ক্ষীরসমুদ্র।

যখন পৃথিবীর উজ্জ্বল জ্যোতি চোখে পড়ে তখন আশ্চর্যান্বিত হই- প্রথম দৃষ্টি পড়লো জঠরধারীর দিকে।
বক্ষমাঝে রেখে তৃষিত এ প্রাণ করেছিলো শীতল-
দিনযামিনী অত্যন্ত আকুল আপেক্ষায় কবে মা বলে ডাকবো সে শুনবে।
এই মা ডাকের মনোহারীতা মায়ের কাছে কোন মূল্য হয় না।

ঋণগ্রস্ত মায়ের চোখেমুখে ক্লান্তি তবুও কোনদিন ব্যক্ত করেনি হিয়ার মাঝে ছিলো আবেশ।
কত যে কষ্টে কাটিয়ে ছিলো কত গুলো বছর,
কোনদিন হতে দেয়নি তার ভাগীদার-
হাজার করেছি ছল-অত্যাচার,
অনেক করেছে সংগ্রাম একবারের জন্যও ভাবিনি তার কষ্টের কথা কিন্তু সে জয়ী,
সংযমপরায়ণ ছিলো, ইন্দ্রয়বাসনা গুলোকে জয় করে পরলোকগমন করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *