বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া গ্রামের স্বনামধন্য কাঠ শিল্পী সাধন কর্মকার।

আবদুল হাই,বাঁকুড়া: – বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া গ্রামের স্বনামধন্য কাঠ শিল্পী সাধন কর্মকার। গোটা রাজ্যও তথা ভারতবর্ষে বাঁকুড়ার এই ছোট্ট কেঞ্জাকুড়া গ্রাম বিখ্যাত তার অতিকায় জিলিপি, মুড়ির মেলা এবং কাঁসা শিল্পের জন্য। কাঁসা শিল্প ছাড়াও কেঞ্জাকুড়ার কাঠের শিল্প ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। কাঠ শিল্পী দের অন্যতম হলেন সাধন কর্মকার। সমগ্র গ্রামে ২৪ জন কাঠের শিল্পী রয়েছেন। মাত্র দুইজন কাঠ শিল্পী সুযোগ পেয়েছিলেন সরকারিভাবে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে কাজ শিখে আসার। প্রথমে বাঁশের কাজ দিয়ে। তারপর শুরু করেন কাঠের কাজ। কেঞ্জাকুড়া গ্রামেই তাঁর বাড়িতে কাজ করেন একাধিক মহিলা কাঠ শিল্পী। বাড়িতেই তৈরি হয় কাঠের বিভিন্ন সরঞ্জাম। শিল্পী সাধন কর্মকার তাঁর বাড়ির ছাদের পাশে করেছেন একটি সংগ্রহ শালা। সাধন কর্মকার জানান, “১৯৮৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যা যা আমি আমার কর্মজীবনে করেছি, সব রাখা আছে।”

প্রায় ৪০ বছর পুরোনো ৪০ পয়সার কাঠের খেলনা, ২ টাকা চার আনার গরুর গাড়ি। সাধন কর্মকারের কর্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন চিঠি এবং নোটস। তাছাড়াও রয়েছে পুরোনো দিনের কয়েন এবং পুরোনো টিকিট। প্রাকৃতিক ভাবে মৌলিক আয়তন নেওয়া বিভিন্ন পাথরের টুকরো। যেগুলি প্রত্যেকটি একটি বার্তা বহন করে। অবশেষে রয়েছে একটি বাবুই পাখির অপূর্ব সুন্দর বাসা। শিল্প কর্ম করে তিনি একজন স্বয়ং সম্পূর্ণ ব্যক্তি। তবুও ৬২ বছর বয়সেও কাষ্ঠ শিল্পের প্রতি বিরাট অনুগত্য রয়েছে তাঁর।

আসন্ন শীতকালে বাইরে থেকে আগত বহু পর্যটক বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুরা গ্রামে আসেন। এবং এই গ্রামের শিল্পসত্ত্বা, মিষ্টান্ন উপভোগ করেন। চক্ষু বিস্ফারিত করে দেখেন মুড়ির মেলা। তাই এইবার যদি কেঞ্জাকুরা গ্রামে আসেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে দেখুন এই সংগ্রহশালাটি। আপনাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবেন স্বনামধন্য কাষ্ঠ শিল্পী সাধন কর্মকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *