ঠাকুর নাচ ও কুঞ্জ ভঙ্গের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো গোস্বামী বাড়ির ঐতিহাসিক রাস উৎসব।

0
733

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  ঠাকুর নাচ ও কুঞ্জ ভঙ্গের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো গোস্বামী বাড়ির ঐতিহাসিক রাস উৎসব। উল্লেখ্য নদিয়ার শান্তিপুরের অতি প্রাচীন এই রাস উৎসব, মূলত শান্তিপুরের গোস্বামী বাড়িগুলির তত্ত্বাবধানে পরিচিত এই রাস উৎসব। প্রথম রাস দ্বিতীয় রাস এবং তৃতীয় দিনের ভাঙা রাসের পর আজ বিগ্রহ বাড়ি গুলির আরাধ্য দেবতাদের কুঞ্জ ভঙ্গের মধ্যে দিয়ে মূল মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বংশধরদের দুই বাহুতে করে আরাধ্য দেবতাদের নাচিয়ে যাত্রা পথ শুরু হয় মূল মন্দিরের, আর এই দৃশ্য দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড় হয় উপচে পড়ার মতো। ঢাকের বাড়ি আর ভক্তদের নাচ এ যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে গোটা শান্তিপুরবাসীর মধ্যে। আজ কুঞ্জ ভঙ্গের অনুষ্ঠানের সময় শান্তিপুর বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়িতে উপস্থিত হন রাজ্য আইএনটিটিইউসির সভাপতি তথা সংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির আরাধ্য দেবতা কে কোলে নিয়ে নগর কীর্তনে ভেরন তিনি, যদিও ওই বাড়ির বংশধর তথা শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীও আরাধ্য দেবতাকে কোলে নিয়ে একই সাথে নগর কীর্তনে বের হন। অন্যদিকে শান্তিপুরের আরো এক ঐতিহ্যবাহী গোস্বামী বাড়ি বড় গোসাই বাড়ি, সেখানেও কুঞ্জভঙ্গ অনুষ্ঠানে কাতারে কাতারে ভক্তদের ভিড়। প্রায় দু’ঘণ্টা আরাধ্য দেবতাকে নাচিয়ে যাত্রাপথ শুরু হয় মূল মন্দিরে প্রবেশের জন্য। বড় গোস্বামী বাড়ির বংশধর দেবজিত গোস্বামী বলেন, আজ সকাল থেকেই বাড়ির বংশধরেরা উপবাস থেকে রাসমঞ্চে পৌঁছায়, এরপর আরাধ্য দেবতাদের কোলে তুলে নাচিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূল গৃহে। কুঞ্জ ভঙ্গ মানে শ্রী রাধিকার সাথে শ্রীকৃষ্ণের বিরহের ব্যাপার, তাই আবার গানের মধ্যে দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধিকার যুগল মিলন ঘটিয়ে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হয়।