নদীয়া কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী আগমনে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রস্তুতি।

0
53

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- লোকসভা নির্বাচন ঘোষিত না হলেও ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। ২৯ শে ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মোদী নাড্ডা অমিত শাহ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে হিসেবে বাংলার কুড়ি টি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাছাইয়ের এক ম্যারাথন সভা চলে। যা ঘোষিত হতে পারে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে আসার পর।

একদিকে যেমন গতকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হুগলির আরামবাগ এবং আজ নদীয়ার কৃষ্ণনগর সহ দুদিনের বঙ্গ সফর সাথে অবশ্যই কলকাতায় রাজভবনে রাত্রি বাস। দুটি ক্ষেত্রেই একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রশাসনিক সভা সহ নির্বাচনী সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
অন্যদিকে নির্বাচনী ক্ষেত্র পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাজ্যে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
যদিও সম্প্রতি সন্দেশখালি এবং নানান ঘটনা বহুল পরিস্থিতি মাথায় রেখে আপাতত আজ পয়লা মার্চ ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসলেও আগামী সাত তারিখ আরো ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বিতীয় পর্যায়ে আসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রয়োজন ভিত্তিক আরো সেনাবাহিনী মজুদ রয়েছে বলেই জানা গেছে। এর মধ্যে রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর দুই লোকসভা কেন্দ্রর জন্য চার কম্পানি করে সোনা জাওয়ান আজ থেকেই বিভিন্ন স্পর্শ এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং টহলদারী সহ পর্যবেক্ষণ করবেন তারা।
আজ কৃষ্ণনগর সভা স্থলে আসার আগে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌছানোর আগেই রাজ্যপালের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সন্দেশখালি সহ একাধিক নানান জ্বলন্ত সমস্যা এবং পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করছেন। অন্যদিকে মূল সবার স্থলে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষজনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্ররাজ্য উভয় ক্ষেত্রেই পুলিশি সর্বময় কর্মকর্তারা উপস্থিত সকাল থেকেই। তবে আজ মতুয়া অধ্যুষিত নদীয়ায় প্রধানমন্ত্রী এন আর সি এ প্রসঙ্গে কি বলেন সেটাই, আজকের জনসভার প্রধান আকর্ষণ। যদিও ইতিমধ্যেই সাংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরামবাগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী ৪২ এ ৪০ টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। নদীয়ার রানাঘাট লোকসভা বিজেপির দখলে থাকলেও কৃষ্ণনগর মহুয়া মৈত্র কে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করার পর বিষয়টি আরো চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকবিরোধী উভয় দলের ক্ষেত্রেই।
সকাল থেকেই ২ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ইতিমধ্যেই ট্রেনে বাসে ভিড় করে রওনা দিয়েছেন সভা স্থলে যাবার উদ্দেশ্যে। যদিও বেলা বারোটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ভাষন শুরু হবে বলে জানা গেছে সূত্রের খবর অনুযায়ী।