জমি নিয়ে বিবাদ, আদালতের দ্বারস্থ অসহায় দম্পতি, মামলা তুলতে বাড়িতে ঢুকে হুমকি সিভিকের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—–জমি নিয়ে বিবাদ।আদালতের দ্বারস্থ অসহায় দম্পতি।মামলা তুলতে বাড়িতে ঢুকে হুমকি সিভিকের।অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে।এমনকি কোর্ট থেকে জমি সংক্রান্ত মামলা না তুললে ভবিষ্যতে ওই দম্পতি ও তার পরিবারকে দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এমনটাই অভিযোগ।বর্তমানে ওই দম্পতি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর এলাকায়।এ বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পটেন দাস।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই এলাকার বাসিন্দা পটেন দাস আর্থিক অভাবের কারণে তার ১৪ শতক জমি কুশিদা এলাকার এক ব্যবসায়ীকে ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধক দেন।কিন্তু এক বছর পর এই জমির বন্ধকের টাকা ফেরত না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ী পটেনের কাকি তথা সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাসের মায়ের কাছে বিক্রি করে দেয়।এরপর পটেনবাবু পুনরায় স্বপন দাস ও তার পরিবারের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই জমি কিনে নেন।কিন্তু ১৪ শতকের পরিবর্তে মাত্র পাচ শতক জমি তাকে ফেরত দেওয়া হয়।আর বাকি ৯ শতক জমি ফেরত চাইতে গেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাস তাকে হুমকি দিতে থাকে।এরপরেই পটেন দাস চাঁচল মহকুমা আদালতে এই নিয়ে মামলা করলে তাদের পরিবারের উপর হুমকি এবং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ।অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাসকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।চাকরি চলে যাওয়াতে পটেনবাবুর পরিবারের উপর আক্রমণ বেড়ে যায়।এ প্রসঙ্গে পটেন দাস বলেন ‘আমি ১৪ শতক জমি বন্ধক রেখেছিলাম কুশিদা এলাকার ব্যবসায়ী বাসুদেব আগরওয়াল এর কাছে।কিন্তু বাসুদেব আগরওয়াল ওই জমিটা আমার কাকির কাছে বিক্রি করে দেয়।আমি টাকা জোগাড় করে ওদের দাবি মত ওই জমি আবার চার লক্ষ টাকায় কিনে নি।কিন্তু পাঁচ শতক জমির দখল দিলেও বাকি ন’শতক জমির দখল দেয়নি।আর এই নিয়ে বলতে গেলে আমার পরিবারের উপর স্বপন দাস নিজের প্রভাব খাটাচ্ছে এবং একের পর এক আক্রমণ করছে।আমার পরিবারকে কুরুচিকর ভাষায় হুমকি দিচ্ছে।যদিও সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বপন দাস তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।ব্যবসায়ী শনিত আগরওয়াল জানান,পটেন দাস তাদের কাছে জমিটি বিক্রি করেছিল।এখন সে মিথ্যা কথা বলছে।এই নিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে সিভিল মামলা করা হয়েছে।অপরদিকে পটেন দাস তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস জানিয়েছে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *