রাত পোহালেই বাংলার নতুন বছর,দিঘা থেকে দুই জঙ্গি গ্রেপ্তার পর কি ভাবছে পর্যটক থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

0
24

দিঘা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাত পোহালেই বাংলার নতুন বছর। সেই নতুন বছরে আনন্দ উপভোগ করতে রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় পাড়ি দিয়ে থাকে বহু পর্যটক। এবারেও কি জমবে পর্যটকদের উপস্থিত দিঘায় বর্ষবরণের মজা।শুক্রবারই দিঘার একটি হোটেল থেকে বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণ কান্ডে দিঘা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এন আই এ এর প্রতিনিধিদল। একজনের নাম আব্দুল মতিন ত্বহা এবং মুসাভির হোসেন সাজিদ। তাদের নিজেদের হেফাজতে নেয় তদন্তকারি সংস্থা এন আই এ। সেই ঘটনার পর পর্যটক থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ কি ভাবছেন তা জানতে আমরা যোগাযোগ করি হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে তারা জানালেন। ইদ থেকেই দিঘায় পর্যটকদের ভীড় জমেছে।বহু পর্যটকের সমাগম ঘটছে।তাই মাঝে দুই জঙ্গি হওয়ার ঘটনা সময়িক সমস্যা হলেও বাংলার নতুন বছরে তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এম স্কয়ার ও এজিএম গ্রান্ড হোটেলের মালিক নন্দন চক্রবর্তী জানান, গতকালের ঘটা খুব বেশি চাউর হয়নি। ফলে পর্যটকদের মনে ভয় ভীতির কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করছি না।ইদ থেকে পর্যটকের ভালোই ভীড় রয়েছে। আশাকরি আগামীকাল বাংলার নতুন বছর রবিবার ছুটির দিনে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।

অন্যদিকে নিউ দিঘা ইন্টারন্যাশনালের কর্তৃপক্ষ কার্তিক মান্না জানান, কিছু কিছু হোটেলের উদাসীনতার কারনে মাঝে মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ গুলিকে আরও সজাগ ও সচেতন হতে হবে। গতকালের ঘটনায় সাময়িক মানুষের মনে দাগ কাটলেও আগামী দিনে তার কোনো প্রভাব পড়বে না। শনি ও রবি ছুটি তার মাঝে রবিবার বাংলার নতুন বছর। আগের থেকে ভীড় বাড়বে বলে তো কমবে না এটা আমার আশা।

হোটেল কর্তৃপক্ষ দুই জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর পর্যটকদের মধ্যে তার কোনো প্রভাব পড়ার কথা না বলেও পর্যটকেরা সাংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি জেনেছে। বিপদ এড়াতে অনেকেই দিঘা ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করবে।

কলকার ডানলপ থেকে আগত সৌরভ কর জানান বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবার নিয়ে দিঘায় এসেছি। তার শুক্রবার জঙ্গি গ্রেপ্তারের খবর শুনে ভয় পাচ্ছি। ১ লা বৈশাখ কাটিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো কিন্ত আজই বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়েছি।

রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। রাজ্য সরকারের হাত ধরে দিঘায় আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে দিঘায় দিনে দিনে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় বাড়ছে অসামাজিক কাজ আর জঙ্গিদের ডেরা। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। শুধু নিয়ম জারি নয় তার বাস্তবায়ন করে চলতে হবে।।