প্রচন্ড গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিচর্যা করার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে খোলা হলো হিট কর্নার।

0
34

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- প্রচন্ড গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিচর্যা করার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে খোলা হলো হিট কর্নার। যদি কোন ব্যক্তি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাকে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে এই হিট কর্নার খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সুদীপ দাস, চিফ মেডিকেল অফিসার অফ হেলথ অফ সাউথ দিনাজপুর বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বালুরঘাট হাসপাতালে গরমে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাকে জরুরী পরিষেবা দেওয়ার জন্য হিট কর্ণার খোলা হয়েছে। এতে দুটি বেড থাকবে।মূলত হিট রিলেটেড ইলনেস মোকাবিলা করার জন্যই এই নতুন পরিষেবা প্রদান করা হবে। এখানে ঠান্ডা জল, ঠান্ডা নরমাল স্যালাইন, আইসপ্যাক, কভারিং কাপড়, টাওয়েল,থার্মোমিটার ইত্যাদি থাকবে। এছাড়া জীবনদায়ী ওষুধপত্র এবং ইসিজি মেশিন থাকবে। এই হিট কর্নারে বিশিষ্ট চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন যারা এই জরুরি পরিষেবা দিতে পারবেন। এই হিট কর্নার কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর নয়। এটি সাধারণ ঘর কারন আমাদের ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের গাইডলাইন অনুযায়ী হিট কর্নার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর হতেই হবে এমনটা বলা হয়নি।”
তিনি বলেন, “শুধু বালুরঘাট জেলা হাসপাতালই নয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৮ টি ব্লকের হাসপাতালেই এই হিট কর্নার চালু করা হয়েছে। তাছাড়া আমাদের জেলায় ১৮ টি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার রয়েছে। এই সমস্ত হেলথ সেন্টারগুলোতেও আলাদাভাবে আমরা হিট কর্ণার চালু করেছি। তাছাড়া গঙ্গারামপুর সাব ডিভিশনাল হসপিটালেও হিট কর্নার চালু হয়েছে। আমরা আশা করছি যদি কেউ গরমে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাদের জীবন বাঁচানো এই হিট কর্নারের মাধ্যমে সহজ হবে।”
গত দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। তীব্র গরমে হিটস্ট্রোক হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
সুদীপ দাস বলেন, “এই প্রচন্ড গরমে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন কারণ তাপমাত্রার পারদ ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। দিনের বেলা প্রয়োজন ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিদের বেরোনো উচিত নয়। যদি একান্তই বেরোতে হয় তাহলে টুপি, ছাতা বা গা ঢাকা পোশাক এবং জল বহন করা উচিত। শরীরে জলের মাত্রা কম হলে হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই সমস্ত রোগীদের জরুরী পরিষেবা প্রদান করা আমাদের লক্ষ্য এবং এই উদ্দেশ্যে হিট কর্ণার চালু করা হয়েছে।”