স্মরণে, বুদ্ধদেব বসু – বিশ শতকের বাঙালি কবি ও আধুনিক কবিকুলের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক।

বুদ্ধদেব বসু ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন প্রভাবশালী বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক, সম্পাদক এবং সাহিত্য সমালোচক ছিলেন।  তিনি বিংশ শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকে আধুনিক কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ।  তিনি বাংলা সাহিত্য সমালোচনার পথিকৃৎ এবং কবিতা পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে সমাদৃত।

বুদ্ধদেব বসু ছিলেন আধুনিক কবিকুলের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, সমালোচনা, নাটক, কাব্যনাটক, অনুবাদ, সম্পাদনা, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ, শিশুসাহিত্য ও অন্যান্য বিষয়ে বসু’র প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৫৬টি। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পত্তনে যে কয়েকজনের নাম সর্বাগ্রে স্মরণীয়, বুদ্ধদেব বসু তাদের মধ্যে অন্যতম। তাকে কল্লোল যুগ-এর অন্যতম প্রধান কাণ্ডারি হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলা কবিতায় আধুনিক চিন্তা-চেতনা এবং কাঠামো প্রবর্তনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

কাব্যগ্রন্থ———

দময়ন্তী, দ্রৌপদীর শাড়ি, শ্রেষ্ঠ কবিতা, মর্মবানী, বন্দীর বন্দনা, একটি কথা, পৃথিবীর পথে, কঙ্কাবতী , শীতের প্রার্থনা: বসন্তের উত্তর, যে-আঁধার আলোর অধিক, একদিন: চিরদিন, স্বাগত বিদায়, দময়ন্তী: দ্রৌপদীর শাড়ি ও অন্যান্য কবিতা, মরচেপড়া পেরেকের গান।

উপন্যাস———-

পরিক্রমা , কালো-হাওয়া, তিথিডোর, নির্জন স্বাক্ষর, মৌলিনাথ, একদা তুমি প্রিয়ে, সাড়া, সানন্দা , লাল মেঘ, বাসরঘর , নীলাঞ্জনের খাতা, পাতাল থেকে আলাপ, বিপন্ন বিস্ময়, রুক্‌মি, রাত ভ’রে বৃষ্টি, গোলাপ কেন কালো ।

গল্প———–

রেখাচিত্র, হাওয়া বদল, শ্রেষ্ঠ গল্প, রজনী হল উতলা, অভিনয়, অভিনয় নয়, ভাসো আমার ভেলা, প্রেমপত্র, একটি জীবন ও কয়েকটি মৃত্যু, হৃদয়ের জাগরণ।

প্রবন্ধ—————-

রবীন্দ্রনাথ: কথাসাহিত্য, স্বদেশ ও সংস্কৃতি , সঙ্গ নিঃসঙ্গতা ও রবীন্দ্রনাথ, প্রবন্ধ-সংকলন, হঠাৎ-আলোর ঝলকানি, কালের পুতুল, সাহিত্যচর্চা, কবি রবীন্দ্রনাথ, সমুদ্রতীর, আমার ছেলেবেলা, আমার যৌবন, আমি চঞ্চল হে, সব-পেয়েছির দেশে, উত্তর তিরিশ, মহাভারতের কথা, কবিতার শত্রু ও মিত্র, জাপানি জর্নাল, দেশান্তর, কবি রবীন্দ্রনাথ।

নাটক———- মায়া-মালঞ্চ।
সত্যসন্ধ, প্রথম পার্থ, চরম চিকিৎসা, তপস্বী ও তরঙ্গিণী, কলকাতার ইলেক্ট্রা।

অনুবাদ———–
বোদলেয়ার: তাঁর কবিতা,  হেল্ডালিনের কবিতা,  রাইনের মারিয়া রিলকের কবিতা , কালিদাসের মেঘদূত, গহীন বালুচর।

ভ্রমণ কাহিনী———-

সব-পেয়েছির দেশে, জাপানি জর্নাল!, দেশান্তর।

স্মৃতিকথা——— আমার ছেলেবেলা, আমার যৌবন ।

সম্পাদনা———- আধুনিক বাংলা কবিতা।

সম্মাননা——–

পদ্মভূষণ (১৯৭০),  তপস্বী ও তরঙ্গিণী কাব্যনাট্যের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ (১৯৬৭), স্বাগত বিদায় গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন (১৯৭৪)।

মৃত্যু——-

১৯৭৪ সালের ১৮ই মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুদ্ধদেব বসু  মৃত্যুবরণ করেন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।