কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় নাম নেই একাধিক তৃণমূল কর্মী উপভোক্তার।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় নাম নেই একাধিক তৃণমূল কর্মী উপভোক্তার। কিন্তু পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও তালিকায় নাম রয়েছে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই থেকে শুরু করে আত্মীয়দের। প্রধানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। অভিযোগ সামনে আসতেই কংগ্রেসকে আক্রমণ তৃণমূল এবং বিজেপির।সাফাই পঞ্চায়েত প্রধানের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলিয়া পাঠান পাড়ায় শুক্রবার বিকেলে আবাসের দাবিতে
বিক্ষোভের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।এলাকাবাসী এবং তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান রাজিব খান তৃণমূল কর্মীদের মাটির বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস প্লাসের ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানির দাবি করেছিলেন। তারা দিতে পারেন নি বলে তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে।যদিও ২০১৮ এবং ২০২২ সালের তালিকায় তাদের নাম ছিল বলে দাবি। অন্যদিকে প্রধানের ভাই আবুল কালাম আজাদের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম রয়েছে।‌ আবাসের তালিকা নিয়ে এই বেনিয়ম এবং দুর্নীতিতে সরব হয়েছে তৃণমূল কর্মীরা।এদিন গ্রামের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। তাদের দাবি যারা প্রকৃত যোগ্য তাদের ঘর দিতে হবে। আর যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। যদিও প্রধান রাজিব খানের দাবী সার্ভের ক্ষেত্রে তাদের কোন হাত নেই। যদি অভিযোগ থাকে তাদের এসে জানালে তারা চেষ্টা করবে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ দীর্ঘদিন মালদা জেলাতে লুট করেছে কংগ্রেস। তাই কোথাও একটু ক্ষমতা পেতেই দুর্নীতি করছে। বিজেপির কটাক্ষ তৃণমূল এবং কংগ্রেস মুদ্রার এপিঠ এবং ওপিঠ। দুর্নীতি এদের স্বভাব সিদ্ধ। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।