পুষ্টিকর খাদ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের খুদে শিশুরা, পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর মালকুড়া গ্রাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—প্রসূতি মা এবং ০ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত শিশুদের পুষ্টিগুণ খাবার ও প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে গড়ে উঠেছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। তবে পুরাতন মালদহে উঠে এলো এক ভিন্ন ছবি। এলাকায় নেই কোন শিশু আলয় এর ব্যবস্থা। যার ফলে পুষ্টিকর খাদ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের খুদে শিশুরা। পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর মালকুড়া গ্রাম। গ্রামের পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৫০টির কাছাকাছি। আদিবাসী অধ্যুষিত এবং প্রত্যন্ত এলাকা অর্থাৎ পুরাতন মালদহ ব্লকের শেষ প্রান্ত এই গ্রামে অপর প্রান্তে গাজোল ব্লক। আজও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় রাস্তাঘাট পানীয় জলের সমস্যা তো রয়েছেই। তার পাশাপাশি মূল সমস্যা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের। কারণ এই গ্রামের শিশুদের সংখ্যা প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনেরও বেশি। ০ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত শিশুরা সঠিক পুষ্টি এবং প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। সাথে প্রসূতি মা ও গর্ভবতী মহিলারাও বঞ্চিত।
এদিকে আদিবাসী এলাকার মানুষজনের দাবি, এলাকায় যেন উন্নয়নের পাশাপাশি শিশু আলয় অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার নতুন করে তৈরি করা হয়। কারণ এই গ্রাম থেকে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে রয়েছে অন্যান্য অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, সেখানে প্রতিনিয়ত প্রসূতি মা এবং শিশুরা যেতে পারে না, নানান সমস্যার সম্মুখীন পড়তে হয়। তাই আমাদের দাবি আমাদের এই আদিবাসী গ্রামের যেন সরকারের পক্ষ থেকে একটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার বা আইসিডিএস কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়।
যদিও এই বিষয়ে পুরাতন মালদহ ব্লক চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই গ্রামের অভিযোগ ইতিমধ্যেই পেয়েছি। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন রয়েছে সেই জায়গায় আদেও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার গড়ে তোলা যাবে কিনা তা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে নতুন করে সার্ভে করে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠাবো।