বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা :- মুখ্যমন্ত্রীর ইসারা ছাড়া যেখানে তৃনমুল ও প্রশাসনে কিছুই হয় না। সে ক্ষেত্রে আপনাদের কি মনে হয় মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না। আসলে মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলের গায়ে নিয়ম ভেঙে রমরমিয়ে গজিয়ে ওঠা রিসর্ট ও হোমস্টের ব্যাপারে সব জানেন।আলিপুরদুয়ারে বসে এখন এসব বলে মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। মুখ্যমন্ত্রী আসলে সামনে বিধানসভা ভোট তার আগে জনগনের কাছে তার নিজের ভেংগে যাওয়া ইমেজ ফেরানোর খেলায় এসব বলে পার পেতে চাইছেন। আজ বালুরঘাটে কাদের অনুমতিতে বড় বড় বিল্ডিং এ ঢেকে যাচ্ছে জঙ্গল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় তোলা প্রশ্ন নিয়ে সংবাদ মধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীকেই পালটা আক্রমন করে একথাই বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তরপুর্বাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।তার আরও বক্তব্য তৃনমুল কংগ্রেসে এমন কোন নেতা নেত্রীর সাহস আছে যে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সর্বোচ্চ নেত্রীকে জানিয়ে এসব করবে। ওই যে বললাম উনি জেনে বুঝেই এসব নাটক করছেন উত্তরবংগে এসে। পাশাপাশি আর জি কর কান্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাসি চেয়ে সিবি আই এর উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোকে সমর্থন জানিয়ে উলটে আগ বাড়িয়ে রাজ্য সরকারের উচ্চ আদালতে আবেদন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি সি বি আই সর্বোচ শাস্তি চেয়ে আবেদন জানাবে সেটা আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন আগ বাড়িয়ে আবেদন করতে গেল সেটা বোঝা যাচ্ছে না, তাদের তাড়াহুড়ো দেখে মনে হচ্ছে রাজ্য সরকার চাইছে সঞ্জয়ের ফাসি হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ও সব কিছু ঢাকা পড়ে যাবে।সুকান্তের অভিযোগ তা তো হবেই না, উলটে যে সব ফাক ফোকর বেড়িয়ে আসছে বিচারকের নির্দেশের পর তা নিয়ে তদন্ত শুরু হলে সব সত্যই সামনে চলে আসবে বলে মনে হয়। তিনি সিবি আই তদন্ত নিয়ে এও বলেন ঘটনার পাচদিন পর ঘটনার পর তদন্তের ভার পায় সি বি আই। যদি সি বি আই প্রথম থেকেই এই তদন্তের ভার পেত তবে সিবি আই কে বলা যেত। তাই রাজ্য পুলিশের দেওয়া তদন্ত তথ্যের উপর নির্ভর করতে হয়েছে সিবি আইকে।
অন্যদিকে মালদায় ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনায় শূন্যে গুলি চালানো নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে লন্ডন বানাতে গিয়ে এখন অস্ত্রের দাপাদাপিতে মালদাকেই আফগানিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন। তার দাবি মালদা শহর, কালিয়াচক মানিকচক একেরপর এক মালদায় যে ভাবে গুলিগোলার ঝনঝনানি প্রতিদিন শোনা যাচ্ছে। তাতে পরিষ্কার মালদায় আইন শৃংখ্যলা ভেংগে পড়েছে। এর পাশাপাশি তার দাবি দুলাল খুনের পর থেকেই খবর পাচ্ছিলাম মালদায় প্রচুর অস্ত্র শস্ত্র ঢুকেছে। তখন সেকথা বললেও অনেকেই তা মানতে চাননি, এখন পর পর নেতা খুন ও গোলাগুলির ঝনাঝনানি আর দাপাদাপি দেখে এখন সবাই তা মানতে বাধ্য হচ্ছে।
মেদিনীপুরে সিপি এম এবার প্রথম জেলা সম্পাদক পদে কোন মহিলাকে বসানো নিয়ে সিপি এম এর মহিলা দরদ নিয়ে মুখোশ খুলে গেল বলে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার কথায় সি পি এম নেতৃত্ব এতদিন যে মহিলাদের বিষয় ও দরদ নিয়ে এত কথা বলত সবটাই ছিল ওদের একটা মুখোশ ।না হলে এতদিন পর একজনকে জেলার নেতৃত্বপদ পেতে অপেক্ষা করতে হয়। তার উলটে দাবি কই আমাওরা তো অনেক আগেই কুচবিহারে মালতি রাভা রায়কে ওই পদে বসিয়েছি। উনি একজন এস সি ও এসটি কাস্টের মহিলা। তাকে আমরা যোগ্য সম্মান দিয়েই বসিয়েছি। ভারতীয় জনতা পার্টি সারা দেশে তাদের সংগঠনে মহিলাদের অনেক আগেই প্রথম সারিতে জায়গা করে দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তার আরও দাবি তিনি এব্যাপারে আরও বলেন কমিউনিস্টরা এমন হয়। চিন কখন কোন মহিলাকে তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পদে বসিয়েছে, দেখেন নি। তাই কমিউনিস্টরা আদপে মহিলা বিরোধী বলে তিনি জানান।
বাংলার রাজনীতিতে নয়া ট্রেন্ড। বিরোধীদের প্রশংসা সূচক বাক্য। কুণাল প্রশংসা করছেন শুভেন্দুর। হুমায়ূনের মুখে অধীরের প্রশংসা। শান্তনু ঠাকুরের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা। এটা কি সৌজন্য়ের রাজনীতি না প্রশংসার আড়ালে অন্য কোনও উদ্দেশ্য? এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন এনিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করবেন না।
Leave a Reply