সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের করুণ পরিণতি গৃহবধূর!

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের করুণ পরিণতি! কোচবিহারের কোতোয়ালির বধূ প্রেমে পড়েছিলেন বাংলাদেশের এক যুবকের। প্রেমের টানেই সুদূর কোতোয়ালি থেকে নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে বধূ পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলিতে। বাংলাদেশি প্রেমিকের নির্দেশেই হিলি সীমান্তের চোরাপথে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপারে। এরপরেই বধূর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সংসার করা দূরে থাক, ওই বধূকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নাবালিকা কন্যা ও স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিতে ফোন করা হয় স্বামীকেও। চাওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ। সেই অর্থ পাওয়ার পর আরও দাবি করা হয়। হিলির এক যুবকের মাধ্যমে টাকা আদায় করছিল অপহরণকারীরা। বিষয়টি জানতে পেরে হিলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অপহৃত ওই বধূর স্বামী। তদন্তে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এরপরেই সীমান্তের চোরাপথে বধূকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশের অপহরণকারীরা। ওই বধূ ও নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিস।
পুলিসের এমন সাফল্য তুলে ধরে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ। তিনি বলেন, কোচবিহারের এক বধূকে অপহরণ করে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পেতেই আমরা তদন্ত করে ওই বধূকে কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার করেছি। ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই যুবকের নাম সাহাদাত হোসেন মণ্ডল। বাড়ি হিলি থানার লস্করপুর এলাকায়। ওই ব্যক্তিই বধূর স্বামীকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। বধূর স্বামীর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশি এক যুবকের পরিচয় হয়। ওই যুবক পরবর্তীতে গোপন ছবি সংগ্রহ করে বধূকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। চাপে পড়ে বাড়ি থেকে তিন লক্ষ টাকা এবং গয়না নিয়ে চলে যান বধূ। পুলিস সূত্রে খবর, গত ৩ এপ্রিল ওই বধূ নিজের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর খোঁজ মেলেনি। প্রায় ১০ দিন পর স্বামীকে ফোন করে অপহরণ এবং বাংলাদেশে পাচারের কথা জানান তিনি। ৩০ হাজার টাকা দিলেও সন্তুষ্ট হয়নি অপহরণকারী। আরও টাকা দিলে তবেই বধূকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পুলিস অভিযানে নেমে হিলির ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে এবং চোরাপথেই বধূকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *