সব খবর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মহসিনা স্ত্রীধন সম্পত্তি শ্বশুর বাড়িতে নিতে গেলে বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। এমনকি শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ থেকে শুরু করে মারধোর অব্দি করেন পুলিশের সামনে। এদিন প্রথমে স্ত্রীধন সম্পত্তি নিতে গিয়ে হাসিনার শ্বশুর বাড়ির সামনে প্রায় পুলিশ সহকারে তাকে তিন ঘন্টার বেশি অপেক্ষা করতে হয় আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও। অন্যদিকে বাবুল রহমান ও তার আত্মীয়রা বাড়ির গেট তালাবন্ধ করে দেন এবং নিজেরা বাড়ির ভিতরে বসে থাকেন। মহসিনা শ্বশুর বাড়ির লোকের সেই সময় বলেন বাবুল বাড়িতে নেই সে এই মুহূর্তে বাড়ির বাইরে রয়েছেন। এরপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে বাবুল রহমানকে বারবার ফোন করা হোলেও তার তরফ থেকে প্রথমে কোনরকম সৎ উওর না দিলেও পরবর্তীতে পুলিশ আধিকারিকদের অপেক্ষা করতে বলেন বাবুল। এখানেই প্রশ্ন আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও কি করে পুলিশ আধিকারিকদের ঘন্টার পর ঘন্টা বাড়ির বাইরে কেনো অপেক্ষা করিয়ে রাখলেন বাবুল, এতে তাহলে কী বাবুল আদালতের নির্দেশ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন নাকি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন । এই পুরো ঘটনায় পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্য সহকারে কাজ করেন এবং মহেশিনা স্ত্রীধন সম্পত্তি উদ্ধার করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
কিন্তু এত অব্দি ঠিকঠাক থাকলেও সেখানে স্ত্রীধন সম্পত্তি নিতে আসা মহশিনা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই বাবুল রহমানের আত্মীয়া সাবিতা খানম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী নুর বানু বেগম মহাসিনার উপর চড়াও হন এবং মারধর করেন, সেই সময় উপস্থিত পুলিশ আধিকারিক এবং পুলিশ কর্মীরা দ্রুত মহেশিনাকে উদ্ধার করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
যদিও এদিন সামান্য কিছু স্ত্রী ধন সম্পত্তি উদ্ধার হলেও মূলত যে সমস্ত সম্পত্তি তার রয়েছে সেগুলো উদ্ধার করতে অসংখ্য মহান পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। তার তালিকা অনুযায়ী, দুটি খাট আলমারি, সোনা অলংকার, গিজার, এসি মেশিন, কোন কিছুই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ কর্মীরা।
অন্যদিকে বাকি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আবারো আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন মহসিনা অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর সমস্ত সহযোগিতা করা হবে পরবর্তীতে মহাসেনাকে আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রইলো পুলিশ প্রশাসনো।
Leave a Reply