আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে মেদিনীপুর শহরে আক্রান্ত পুলিশ ও পুরকর্মীরা, গ্রেফতার ৪।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ ও পুরসভার কর্মীরা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোতোয়ালী থানার পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। মেদিনীপুর শহরের খাপ্রেলবাজার এলাকার ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ ও পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, মেদিনীপুর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের খাপ্রেলবাজার এলাকায় সরকারি রাস্তা দখল করে কংক্রিটের প্রাচীর দিয়েছিলেন গোবিন্দ গোপ নামে এক ব্যক্তি। আদালতের তরফে ওই প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় পুরসভাকে। তারপরই পুরসভার তরফে প্রাচীর ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়া হয়। পূর্ব ঘোষণা মতোই বৃহস্পতিবার দুপুরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মেদিনীপুর পুরসভার কর্মীরা বুলডোজার নিয়ে যায় প্রাচীর ভাঙার জন্য। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কোতোয়ালী থানার বিশাল পুলিশবাহিনীও উপস্থিত থাকে ওই এলাকায়। প্রথম থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তা সত্ত্বেও প্রাচীর ভাঙার কাজ শুরু করেন পুরকর্মীরা। হঠাৎই বিকেল ৩টা নাগাদ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই পুরকর্মীদের সঙ্গে ওই পরিবারের সদস্যদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ভাঙচুর চালানো হয় পুরসভার জেসিবি বা বুলডোজারে। থামাতে ছুটে যান পুলিশকর্মীরা। এরপরই ওই পরিবারের সদস্যরা ছাদ থেকে ঢিল ছোঁড়া শুরু করেন বলে অভিযোগ। আর তাতেই জখম হন দুই পুরকর্মী এবং দু’জন পুলিশকর্মী। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনায় পুরসভার তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরই আদিত্য গোপ, তারকনাথ গোপ, অশোক ভকত ও সুনীল ভকত নামে চারজনকে পুলিশ আটক করে। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই দিন সন্ধ্যায় পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “আদালতের নির্দেশের পর নোটিশ দেওয়া ছাড়াও, দু-দু’বার ওই ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুরসভাতে শুনানি হয় কোতোয়ালী থানার পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে। BLRO, SDO-র তরফেও নির্দেশ আসার পর আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ওই প্রাচীর ভেঙে রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য যাই। প্রথমে ওই পরিবারের তরফে বাধা দেওয়া হয় এবং তারপর রীতিমত হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের দুই কর্মী, দু’জন পুলিশ জখম হয়েছেন। আমাদের জেসিবি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা কোতোয়ালী থানায় FIR দায়ের করেছি।” তিনি এও জানান, অশান্তির কারণে এদিন কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। শুক্রবার ওই প্রাচীরের অবশিষ্ট অংশ ভেঙে ফেলা হবে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি তথা ওই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *