মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক ব্যানার্জীর হুঁশিয়ারির পরও চরমে মালদহে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা–-মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক ব্যানার্জীর হুঁশিয়ারির পরও চরমে মালদহে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ‘সভাপতিহীন’ মালদহের কালিয়াচক ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দড়ি টানাটানিতে সভাপতি গঠন প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। গতকাল
বৃহস্পতিবার সভাপতি গঠন প্রক্রিয়া থাকলেও আইনশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রশাসন। এদিকে তৃণমূলের ওজনদার নেতা, নেত্রীর মদতে সভাপতি গঠনের প্রক্রিয়া বার বার করে স্থগিত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব বিরোধী থেকে শুরু করে তৃণমূলেরই একাংশ। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে সভাপতি গঠন না হওয়ায় ‘উন্নয়ন’ থমকে গিয়েছে কালিয়াচক ১ব্লকে। ‘অস্বস্তিতে’ পড়েছে জেলা তৃণমূল।
কালিয়াচক ১ব্লক পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৪২টি। গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ২৫টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং মিম পেয়েছিল ১ টি আসন পাই। সে সময় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন তৃণমূলের তাসলিমা খাতুন। তিনি এবারের লোকসভা ভোটের গণনার দিন অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার পর থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিহীন হয়ে রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির। সহকারী সভাপতি তৃণমূলের আলিউল শেখ পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনা করছেন।

তৃণমূলের সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকলেও কেন সভাপতি গঠন হয়নি? কালিয়াচকের তৃণমূলের একাংশের দাবি, সভাপতি নিয়ে দলের অন্দরে উঠে আসে দুটি নাম। এর মধ্যে মোজমপুরের এক সদস্য রয়েছেন। তাঁকে সভাপতি করতে তৎপর তৃণমূলের জেলার এক ‘ওজনদার’ নেত্রী। সে নামে আবার আপত্তি ব্লক নেতৃত্বের। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা পৃথক শিবিরে রয়েছেন। এরই মধ্যে কংগ্রেসের সদস্যরা
সভাপতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাই কোর্ট এদিন ২৯ মে সভাপতি গঠনের নির্দেশ দেয়। তবে সকালে আচমকা সভাপতি গঠন স্থগিত করা হয়েছে বলে নির্দেশিকা জারি করে প্রশাসন।
উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মহম্মদ নাসিউল শেখ বলেন,“আইনশৃঙ্খলা অজুহাত দেখিয়ে তৃণমূলের এক ওজনদার নেতৃত্বের কথায় সভাপতি গঠন বাতিল করা হয়েছে। সভাপতি না থাকায় উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। এমনকি, একবছরে পঞ্চায়েত সমিতির অধিনে মাত্র একটি দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে।“ তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল কেন ভুগতে হবে কালিয়াচকের মানুষকে, প্রশ্ন তাঁর। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ সারিউল শেখ বলেন, আমাদের এখানে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই এখন বাইরে থেকে কেউ উস্কালে আমরা তা বরদাস্ত করব না।
অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, এক বছর পরও কেন সভাপতি গঠন হচ্ছে না এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না ব্লক সভাপতি এবং জেলা সভাপতি বলতে পারবে। এটি একটি প্রশাসনিক ব্যাপার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *