রাস্তার হাল বেহাল,বাঁশের ডুলিতে করে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হচ্ছে রুগীকে।এমনই মর্মান্তিক ছবি দাসপুরের।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কি ভাবছেন! না এখানে পালকি করে বড় অথবা বউ যাচ্ছে না,গ্রামে থাকা অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য এভাবেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,গ্রামের রাস্তার হাল এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছে যে গ্রামের মানুষগুলো অসুস্থ রুগীকে বাঁশের ডুলিতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাণ যায় যায় অবস্থা অসুস্থ রুগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গ্রাম থেকে ১কিলোমিটার দূরে বড় রাস্তায় পৌঁছাতে  গ্রামের মানুষগুলোর ভরসা এই বাঁশের ডুলি। বাঁশের পাটাতনকে লম্বা একটা বাঁশের দুই দিক থেকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে সেই বাঁশের দুদিকে কাঁধ দিয়ে রুগীকে তুলে বড় রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় গ্রামবাসীদের। এই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন এখানে জন্মানো যেন পাপ। সরকার ভালো সবাই ভালো খারাপ আমাদের এই গ্রামে জন্ম হওয়া। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ব্লকের ওই গ্রামের নাম বাছড়াকুন্ডু। দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নিজ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তে  পড়ে এই গ্রাম। অভিযোগ গ্রামের সাথে যোগাযোগের সব রাস্তার হালই প্রায় বেহাল। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে গ্রাম থেকে দ্রুত রুগীকে হাসপাতালে পৌঁছাতে  ঘাটাল-মেদিনীপুর সড়কে আনতে ভরসা বাছড়াকুন্ডু থেকে বালিপোতা তেঁতুল তলার এই রাস্তা। কিন্তু রাস্তার হাল এমন বেহাল যে কোনো সুস্থ মানুষই এই পথে বাইকে বা সাইকেলে তো দূর হেঁটেও যেতে পারে না। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের লক্ষ্মণ দোলই এর ছেলে বছর ২০ এর  অসুস্থ সুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কষ্টের শেষ নেই। বেহাল রাস্তা চার চাকা তো দূর। হেঁটে বা বাইকে করেও রুগীকে  বড় রাস্তায় আনা সম্ভব নয়। ভরসা এই বাঁশের ডুলি। সুজনকে এই বাঁশের ডুলিতে তুলে কাঁধে করে বাছড়াকুণ্ডু থেকে বালিপোতা তেঁতুল তলা আনা হয়। এখানেই ছিল এম্বুল্যান্স এম্বুলেন্সে তুলে সোজা হাসপাতালে। গ্রামবাসীরা বলেন বছরে প্রায় ৩ মাস নৌকায় যাতায়াত। বাকী সময় রাস্তার ভরসা না করে রাস্তা থেকে মাঠে নেমে যাতায়াত করতে হয়। বারে বারে এই রাস্তার হাল ফেরানোর দাবি তুলেছিলেন গ্রামের মানুষগুলো। হাল ফেরেনি রাস্তার। তবে দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ভৌমিক জানান বালিপোতা তেঁতুল তলা থেকে বাছড়াকুন্ডুর ওই নতুন রাস্তার জন্য টাকা ইতিমধ্যেই একবার অনুমদন পায়। টাকাও আসে। কিন্তু টাকা ফিরে গেছে রাস্তা তৈরী নিয়ে জমিজটের কারণে। তিনি বলেন আমরা আবার আবেদন করেছি। আশা করা যায় দ্রুত গ্রামের যোগাযোগের হাল ফিরবে কাজ শুরু হবে নরুন রাস্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *