পূর্ব বর্ধমান, নিজস্ব সংবাদদাতা:-হোটেল খুলে তার আড়ালে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকার একাধিক হোটেল মালিক বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠে আসছিল। কিছুদিন আগেই বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ নবাবহাট এলাকার বেশ কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালিয়েছিল। হোটেল গুলি থেকে আটক করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা কে। এমনকি হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তারপরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন যে হয়নি মঙ্গলবার তা চাক্ষুষ করলেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসাদারেরা।
এদিন বিকেলে আচমকাই বর্ধমান মহিলা থানা ও সদর থানার পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে চাইল্ড লাইন কমিশনের একটি দল নবাবহাট সংলগ্ন ১২৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে হানা দেয়। সূত্রের খবর, কমিশনের কাছে আগাম খবর ছিল হোটেলটিতে নাবালিকা মেয়েদের রাখা হয়েছে। পুলিশ হোটেলটি কে ঘিরে রেখে ভিতরে অভিযান চালায়। পুলিশী অভিযানে হোটেল থেকে ৫ জন মহিলা কে উদ্ধার করা হয়, পাশাপশি ৪ জন পুরুষকেও আটক করা হয় ৷ জানা গেছে, আটক ৪ জন পুরুষের মধ্যে ২ জন হোটেল কর্মী। অন্যদিকে সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ৫ জন মহিলার মধ্যে একজন নাবালিকা রয়েছে।
অভিযানে আসা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট সুস্মিতা চন্দ্র বলেন,’ আমাদের কাছে খবর ছিল হোটেলে নাবালিকা মেয়েদের রেখে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী বর্ধমান জেলা পুলিশের সাহায্য নিয়ে এদিন অভিযান চালানো হয়। মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি হোটেলের দুই কর্মী সহ আরো দুজন পুরুষ কে আটক করা হয়েছে। প্রত্যেকের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেলের লাইসেন্স ও ব্যবসা চালানোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সামনেই স্কুল, আর তার পাশেই হোটেল খুলে এইভাবে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে এক শ্রেনীর ব্যবসাদার। এই এলাকার প্রতিটি হোটেলে এইভাবে অভিযান চালাতে হবে। এখন যে যেমন পাচ্ছে হোটেল খুলে ব্যবসা শুরু করে দিচ্ছে। কিন্তু ভেতরে কি হচ্ছে তা কেও জানে না। তারা আরও বলেন, এই হোটেলটির একাধিকবার নামও পরিবর্তন হয়েছে। অবিলম্বে নবাবহাট এলাকার সমস্ত হোটেলে লাগাতার অভিযান চালানো উচিত প্রশাসনের।
Leave a Reply