পরিবারের অমতে বিয়ে করায় জীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধ! মর্মান্তিক অভিযোগ নদিয়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া:- পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার তরুণীর সমস্ত ছবি, জামাকাপড়, বই ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তার স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলে তাঁরা ঘোষণা করেন, রাখি তাদের কাছে আজ থেকে মৃত।

প্রথমবর্ষের ছাত্রী ভালবেসে বিয়ে করেছে অন্য ধর্মের এক যুবককে। মেনে নিতে না পেরে জীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধ করল পরিবার। খবর ছড়াতেই আলোড়ন পড়ল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটুরা উত্তরপাড়ায় বাড়ি ওই তরুণীর। পরিবারের এমন কাণ্ডে পড়শিরাও অবাক।

পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার তরুণীর সমস্ত ছবি, জামাকাপড়, বই ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তার স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলে তাঁরা ঘোষণা করেন, মেয়ে তাদের কাছে আজ থেকে মৃত।পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাবা কর্মসূত্রে ইজরায়েলে থাকেন। মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কাকা সোমনাথ বিশ্বাস জানান, আগেও মেয়েকে একবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, কিন্তু সে আবার পালিয়ে যায়। এবার আর তাকে ক্ষমা করতে পারবেন না তাঁরা। তিনি বলেন, “পুরোহিত ডেকে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী ওর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করেছি। মেয়ে আমাদের ভালোবাসা-সম্মান কিছুই বোঝেনি, আজ থেকে সে আমাদের মেয়ে নয়।”

পরিবারের এমন কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত পড়শিরা। কেউ কেউ ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেও পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করায় জীবিত মেয়ের শ্রাদ্ধের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সব মিলিয়ে এই ঘটনা ধর্ম ও সমাজ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *