কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের নগর লালবাজার গ্রামের এক ছোট্ট বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় দুই ঠাকুমা ও নাতনি! একজন বয়স্ক বৃদ্ধা, অন্যজন মানসিক ভারসাম্যহীন। সমাজের আলোর বাইরে পড়ে থাকা এই পরিবারটির দুঃখগাথা হৃদয় কাঁপাবে যেকোনো সহানুভূতিশীল মানুষকে। এক বছর আগে মারা যান বৃদ্ধার স্বামী পুন্নেশ্বর বর্মন। প্রায় কুড়ি বছর আগে একমাত্র ছেলেকেও হারিয়েছেন তিনি। ছেলের মৃত্যুর পর ছোট্ট এক বছরের নাতনি পার্বতী বর্মনকে রেখে পুত্রবধূ চলে যান অন্যত্র, সেখানে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। সেই থেকে পার্বতী তার ঠাকুমার কাছেই মানুষ হয়েছে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্পষ্ট হয়, সে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নয়।
আজ পার্বতী একজন যুবতী। নিজের প্রয়োজন বোঝাতে পারে না, নিজের কাজ নিজে করতে পারে না। ঠাকুমার সাহায্যেই বেঁচে আছে। কিন্তু তার ঠাকুমা ননিবালা বর্মনের শরীরে আর সেই শক্তি নেই হাতে লাঠি নিয়েই বাজারে যান, কখনো ভিক্ষা করেন, কখনো কারও দয়ায় কিছু খাবার জোটে।
প্রতিমাসে সরকারিভাবে দু’জনের নামে ১০০০ টাকা করে ভাতা আসে, কিন্তু তা দিয়ে চিকিৎসা, খাওয়া-দাওয়া, কাপড় সব কিছু চালানো প্রায় অসম্ভব। পার্বতীর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে ওই বৃদ্ধার। পাড়া-প্রতিবেশীরাও বলেন, এই ঠাকুমা মারা গেলে পাগলি নাতনির কী হবে?
চোখে জল নিয়ে বৃদ্ধা বলেন,
‘জমি নেই, ঘর নেই, আমরা গরিব মানুষ। শুধু আমি আর এক পাগলি নাতনি, কেউ আমাদের একটু সাহায্য করুন। খুব কষ্টে দিন কাটছে।’
সমাজের কোনও সহৃদয় ব্যক্তি, সংগঠন বা প্রশাসন যদি এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়। যেকোনো রকম আর্থিক সাহায্য তাদের জীবনে বড় স্বস্তি আনতে পারে। ভিডিওতে দেওয়া বৃদ্ধা ননিবালা বর্মনের একাউন্ট নম্বরে আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন।
আমরা সকলকে অনুরোধ করছি, আপনার সামান্য সাহায্য একটি অসহায় জীবনের জন্য আশার আলো হয়ে উঠতে পারে।
Leave a Reply