
হুগলি, নিজস্ব সংবাদদাতা :- সারা দেশের সঙ্গে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে হুগলির মাহেশের ঐতিহাসিক ৬২৯ বছরের সুপ্রাচীন প্রভু জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এই উপলক্ষে সকাল থেকে হাজার হাজার ভক্তদের ঢল নেমেছে মাহেশের মন্দির চত্বরে। এদিন ভোরের আলো না ফুটতে ফুটতেই দূর দুরান্ত থেকে মানুষ জন এসে উপনীত হয়েছেন মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে। এদিন ভোরে জগন্নাথ দেব, বলরাম, মা সুভদ্রা কে বাল্য ভোগ নিবেদন করে সকাল আটটায় মন্দিরের গর্ভবৃহ থেকে এসে উপবিষ্ট হয়েছেন মন্দির চাতালে। সেইখানেই চলছে বিশেষ পূজা অর্চনা নাম সংকীর্তন, ভক্তরা প্রভু জগন্নাথ দেবের কাছে প্রার্থনা করছেন তাদের পরিবারের সুখ শান্তি সমৃদ্ধির জন্য, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই মাহেশের রথযাত্রা উপলক্ষে দূর দূরান্তের মানুষজন এসে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে, প্রভু জগন্নাথ দেবের দর্শন কৃপালাপ এবং রথযাত্রা দেখার আশায়। রথযাত্রা উপলক্ষে মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় এবং স্নান পিরি মাঠে বসেছে বিশাল মেলা। আগামী একমাস ধরে চলবে এই মেলা, ইতিমধ্য দোকানিরাও প্রস্তুত, তাদের পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন বিকি কিনির আশায়, রথের মেলা মানে পাপড় জিলপির সম্ভার তার গন্ধে মম করছে চারিদিক। এদিন বেলা দুটো পর্যন্ত প্রভু জগন্নাথ দেব বলরাম এবং সুভদ্রা দর্শন দেবেন ভক্তদের। বেলা দুটোর পর শুরু হবে দামোদর, এবং দামোদরের পর ভগবান জগন্নাথ, বলরাম, এবং সুভদ্রা মাকে নিয়ে যাওয়া হবে মহেশের বিখ্যাত লোহার সুউচ্চ রথে। সেইখানেই উপবিষ্ট হবেন তিন বিগ্রহ। তারপর বিকেল চারটের পর কয়েক হাজার মানুষজয় জগন্নাথ ধ্বনি দিতে দিতে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে সেই রথ টেনে নিয়ে যাবে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে। এদিকে রথযাত্রা উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসন এর পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় দু হাজার পুলিশ কর্মী ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য নিযুক্ত রয়েছেন, চারিদিকে বসানো হয়েছে সিসিটিভি, এছাড়াও জি টি রোডের দুপাশে যে পথ দিয়ে রথ যাবে সেখানেও তৈরি হয়েছে অনেকগুলি ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে পুলিশকর্মীরা লক্ষ্য রাখবেন রথযাত্রার সময় যাতে কোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে, সব মিলিয়ে ভারতবর্ষের বৃহত্তম দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রার জন্য প্রস্তুত সবাই।












Leave a Reply