বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বালুরঘাট শহরে ক্রমেই বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। বিশেষত নতুন প্রজন্মের মধ্যে মিষ্টির প্রতি আগ্রহ কমতে শুরু করেছে। রসগোল্লা, সন্দেশ, পান্তোয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টির বদলে তরুণ-তরুণীরা ঝুঁকছে ফাস্ট ফুডের দিকে—ফলে মিষ্টির দোকানে ভিড় কমছে, বিক্রি পড়ছে খাদের মুখে।
একাধিক মিষ্টির দোকানদার জানিয়েছেন, আগের মতো এখন আর ছাত্র-ছাত্রীরা বা তরুণ প্রজন্ম দোকানে আসে না। অধিকাংশ ক্রেতা মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ। পরিবর্তে চাউমিন, রোল, মোমো, কচুরি কিংবা পিজ্জার মতো খাবারেই মজেছে নতুন প্রজন্ম। ফলে দীর্ঘদিনের পরিবার চালিত মিষ্টির ব্যবসা আজ সংকটের মুখে।
তাঁদের মতে, দশ-পনেরো বছর আগেও সপ্তাহান্তে পরিবার নিয়ে মিষ্টির দোকানে যাওয়া, স্কুলফেরত রসগোল্লা কিংবা মিষ্টি দই খাওয়া ছিল এক অভ্যাস। এখন সেই জায়গা নিয়েছে বার্গার, কোল্ড ড্রিঙ্কস বা অন্য জাঙ্ক ফুড।
এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই ধারা চলতে থাকলে আগামী দশকে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলি হারিয়ে যাবে শহরের মানচিত্র থেকে।
মিষ্টির ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাঙালির সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মিষ্টি—যা হারিয়ে যাওয়া মানে এক ঐতিহ্যের পরিণতি বিলুপ্তিতে। সেই কারণে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও খাদ্যপ্রেমী মহলের কাছে—যাতে মিষ্টি উৎসব বা প্রচারাভিযানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ফের মিষ্টির দিকে আকৃষ্ট করা যায়।
Leave a Reply