ধুলিয়ান, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শিক্ষার পবিত্র জায়গা স্কুল নয়, বরং ধুলিয়ান উদ্যান পার্কেই এখন যেন ভিড় জমাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, স্কুল ও কলেজ ইউনিফর্মে ছেলেমেয়েরা পার্কে ঘুরছে, করছে ফটোশুট ও রিল ভিডিও । কেউ স্কুল ড্রেস পরে এসেছে, কেউ আবার বোরখা পরে মোবাইল হাতে ব্যস্ত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের জন্য রিল বানাতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অনেক অভিভাবকই ভাবছেন তাঁদের সন্তান স্কুলে যাচ্ছে, অথচ বাস্তবে তারা স্কুলের বদলে পৌঁছে যাচ্ছে পার্কে। পার্কের পাশে থাকা কিছু সচেতন নাগরিক এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পার্ক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন যেন নির্দিষ্ট সময় (স্কুল চলাকালীন) ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ টিকিট বিক্রির আয়ের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একজন স্থানীয় প্রবীণ নাগরিক বলেন, “আমরা রোজ দেখি স্কুল ড্রেসে বা কলেজ ব্যাগ কাঁধে ছেলে-মেয়েরা এখানে ঢুকছে। মোবাইল হাতে নিয়ে ছবি তুলছে, রিল বানাচ্ছে। এটা তাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।”
এই ঘটনায় শিক্ষাবিদ মহলেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তাঁদের মতে, প্রযুক্তি এবং স্বাধীনতার অপব্যবহার করলে তা শিক্ষাক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে একাংশ ছাত্র-ছাত্রী।
বিশেষ করে, এই পার্কটি বর্তমানে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার জায়গায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুল বা কলেজ চলাকালীন সময় এমন ‘অবৈধ ছুটি’ ভবিষ্যতে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পার্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা: স্কুল চলাকালীন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
অভিভাবকদের সচেতনতা: সন্তান কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া।
প্রশাসনিক নজরদারি: পার্কে সময়ভিত্তিক চেকিং এবং পরিচয় যাচাই করা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব: অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে অভিভাবকদের অবগত করা। আমার জেলার খবর তাই খবর তুলে ধরে সমাজকে এগিয়ে নিজেতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়তে এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীর গার্জেন সহ পরিবারকে সচেতন করতে।
এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কতটা দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
Leave a Reply