শিলিগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নজিরবিহীন। পৌরনিগমের বোর্ড মিটিং থেকে দলেরই মেয়র পারিষদকে বের করে দিলেন মেয়র ও ডেপুটি মেয়র। বোর্ড মিটিং থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে সরব হলেন মেয়র পারিষদ। বুধবার এমনই ঘটল শিলিগুড়ি পৌরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে। তৃণমূল পরিচালিত পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব ও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করলেন মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মণ। মেয়র পারিষদের অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিলেন না মেয়র ও ডেপুটি মেয়র।বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। তারই মধ্যে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে দলের অন্দরের কোন্দল সামনে এল। এদিন পৌরনিগমের বোর্ড মিটিং চলাকালীন একটি খাটাল উচ্ছেদে কেন দেরি হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মণ। তা নিয়েই তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। বাদানুবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোর্ড মিটিং। সেইসময় মেয়র পারিষদ দিলীপ বলেন, “কোনও দরকার আছে আমাকে? তাহলে বাদ দিয়ে দেন।” এরপর তিনি বলেন, “মারবেন আমাকে?” তখন তাঁর দিকে আঙুল উঁচিয়ে মেয়র, ডেপুটি মেয়র তাঁকে বেরিয়ে যেতে বলেন।বাইরে বেরিয়ে দিলীপ বর্মণ বলেন, “মেয়র ও ডেপুটি মেয়র আমাকে বের করে দিয়েছেন। আমাকে বোর্ড মিটিংয়ে বলতে দেননি।” খাটাল উচ্ছেদে পদক্ষেপ না করার কারণ নিয়ে মেয়র পারিষদ বলেন, “খাটালের মালিকের সঙ্গে ডেপুটি মেয়রের বন্ধুত্ব বেশি। তাই তাঁদের খাটাল ভাঙবেন না। রফা হয়েছে।” এরপরই তিনি অভিযোগ করেন, “এর আগে একটি বহুতলে সত্তর লক্ষ টাকা নেতাদের পকেটে ঢুকেছিল। বেআইনি বাড়ি ভাঙতে বাধা দিচ্ছেন ডেপুটি মেয়র। কীসের মোহ? আমি মেয়র পারিষদ। আমাকে বের করে দিল। ওয়ার্ডে কাজ না করলে বাসিন্দাদের নিয়ে মেয়র ও ডেপুটি মেয়রকে ঘেরাও করব। ওরা দুর্নীতিগ্রস্ত। না হলে এসব করছেন কেন?”মেয়র পারিষদের অভিযোগ নিয়ে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, “খাটাল নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। তাই, এই নিয়ে হুট করে কিছু করা যায় না।” অন্যদিকে, মেয়র পারিষদের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ তুললে প্রমাণ দিতে হয়। না হলে এই কথার কোনও মানে হয় না।” দিলীপ মেয়র পারিষদ থাকবেন কি না, তা দলই বলবে বলে তিনি জানান।
শিলিগুড়ি পৌরনিগমে অভ্যন্তরীণ কলহ! মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে তীব্র বচসার পর বেরিয়ে গেলেন মেয়র পারিষদ দিলীপ।

Leave a Reply