হরিশ্চন্দ্রপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- অবাক কান্ড! পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া জন্ম শংসাপত্র রেজিস্টার খাতায় নামই নেই! জন্ম শংসাপত্র ডিজিটালাইজেশন করতে কেউ ছ’মাস ধরে,আবার কেউ এক বছর ধরে ঘুরছে। চরম হেনস্থা হতে হচ্ছে অভিভাবকদের। বিক্ষুব্ধ হয়ে সহায়ক কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। যদিও সহায়ক সঞ্জয় কুমার সাহার দাবি পঞ্চায়েতে আসা তার চার মাস হয়েছে। লগিন ও পাসওয়ার্ড নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। সপ্তাহখানেক আগে সেটা সমাধান হয়েছে। বড় সমস্যা হয়েছে রেজিস্টার খাতায় জন্ম শংসাপত্রের বেশিরভাগ রেজিস্ট্রেশন নম্বর মিলছে না। একাধিক জন্ম শংসাপত্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর একটাই দেখাচ্ছে। সেগুলো আসল না নকল বোঝা কঠিন হয়ে গিয়েছে। এমনকি অনেক রেজিস্টার খাতা পঞ্চায়েতে নেই প্রধান ও ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,হাতে লেখা জন্ম শংসাপত্রের পরিবর্তন ঘটিয়ে ডিজিটালাইজেশন করতে এসে পঞ্চায়েত থেকে ঘুরে যেতে হচ্ছে মানুষকে। অভিযোগ,কেউ চার মাস আবার কেউ এক বছর ধরে ঘুরছে। একাধিকবার কাগজপত্র জমা করা সত্ত্বেও হচ্ছে না কাজ। ফলে স্কুলে ভর্তি ও কন্যাশ্রী আবেদন সহ সরকারি বিভিন্ন কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছেলে-মেয়েরা। রাঙ্গাইপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়ের জন্ম শংসাপত্র ডিজিটালাইজেশন করতে ছ’মাস ধরে ঘুরছি। পঞ্চায়েত থেকে জন্ম সার্টিফিকেট দিয়েছিল। এখন সহায়ক বলছে পঞ্চায়েতের রেজিস্টার খাতায় নাম নেই। তাই তিনি ডিজিটালাইজেশন করতে পারবেন না। পঞ্চায়েতের ভুলের কারণে হাজার হাজার মানুষকে বিপদে পড়তে হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার আরেক বাসিন্দা মাজারুল আলম বলেন, পঞ্চায়েত থেকে ছেলের জন্ম শংসাপত্র তুলেছি। ডিজিটালাইজেশন করানোর জন্য তিন মাস ধরে ঘুরছি।’ দিদি কে বলো’ তেও ফোন করে অভিযোগ করেছি। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। পঞ্চায়েতের রেজিস্টারে নাকি ছেলের নামই নেই। পঞ্চায়েত সহায়কের গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষকে বিপদে পড়তে হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুরে জন্ম শংসাপত্র জট: রেজিস্টার খাতায় নাম নেই, বিপাকে শতাধিক পরিবার।

Leave a Reply