পূর্ব বর্ধমান, নিজস্ব সংবাদদাতা:- জলের অপচয় বন্ধ করুন। জলের আরেক নাম জীবন। জল ধরো, জল ভরো। এই ধরনের সরকারি প্রচার আমরা অনেক শুনেছি।
কিন্তু সরকারী স্তরে এই ধরনের প্রচার করা হলেও, পানীয় জল সম্বন্ধে উদাসীন স্বয়ং সরকারি আধিকারিকরাই। অভিযোগ পেয়েও তারা সমস্যা সমাধান করছেন না।
যেমনটি হয়েছে, পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
পানীয় জলের পাইপ ফেটে বিপত্তি, চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা
দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের দোলতলা এলাকায় প্রায় কুড়ি দিন ধরে ভোগান্তিতে মানুষ। এলাকার পিএইচই-র পানীয় জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় রাস্তা জুড়ে জমে রয়েছে জল। ফলে একদিকে পানীয় জলের চাপ কমে গিয়েছে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দিয়ে কলের জলে ঢুকে পড়ছে নোংরা ও দূষিত জল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই দূষিত জল খেয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়ছে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চারা। প্রতিদিন জমে থাকা জল পার হয়ে তাদের স্কুলে যেতে হচ্ছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার জানিয়েও প্রশাসনের তরফে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দোলতলার এক ক্ষুব্ধ বাসিন্দা সৌরভ রায় চৌধুরী বলেন, “আমরা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। নোংরা জল খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে অনেকে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত মেরামতির কাজ শুরু হয়নি। নোংরা জল খেয়ে অনেকে পেটের রোগে ভুগছে ”।
অন্যদিকে একই অবস্থা ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকারই দাস্তিপাড়া এলাকায়। সেখানেও পাইপলাইন ফেটে জলমগ্ন হচ্ছে রাস্তা।।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই পাইপ লাইন দিয়ে কেঁচো, মাছ, নোংরা ঢুকে পড়ছে। সেই দল আমাদের পান করতে হচ্ছে।।
গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পিএইচই দপ্তরকে জানিও কোন কাজ হচ্ছে না ।
এ বিষয়ে দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সবিতা ঘোষ বলেন, অভিযোগ সত্য। বিষয়টা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।
Leave a Reply