কোলাঘাটের থান্ডামণী বাস্কে উজবেকিস্তানকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় নারী দলে স্থান করে দিলেন — গ্রামে বিজয় উৎসব।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- অনুর্ধ্ব ১৭ ভারতীয় জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অন্যতম কোলাঘাটের ঠান্ডামনী বাস্কে। উজবেকিস্তানকে তাদের রাজধানীর মাঠেই দুই এক গোলে হারিয়ে চিনে মূল পর্বে দেশের টিমকে উত্তীর্ণ করে আজ বাড়ি ফিরল। কোলাঘাটে তাকে নিয়ে বিজয় উৎসব। কোলাঘাট মাতঙ্গিনী সেবা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত কোলাঘাট স্পোর্টস অকডেমি।
নিয়মিত অনুশীলন হয় কোলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কোলাঘাট হাইস্কুল ময়দানে। অকাডেমির পথ চলা শুরু থেকেই স্বেচ্ছাশ্রমে নিয়মিত অনুশীলন করান
প্রশিক্ষক শুক্লা দে।
এর মধ্য থেকে একের পর এক খেলোয়াড় উপহার দিয়ে চলেছে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে মহিলা ফুটবলার দের।
কৃতীদের মধ্যে অন্যতম হল এই অকাডেমির ছাত্রী কোলাঘাট বড়িশা গ্রামের বাসিন্দা ঠান্ডামণী বাস্কে। খুবই দরীদ্র পরিবারের ঠান্ডামণীর বাবা লরির চালক। তার মধ্য থেকেই নিষ্ঠা শ্রম একাগ্রতা আর কিছু করে দেখানোর অদম্য মানসিকতায় ও আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমে রাজ্যস্তরে পরে সতেরো অনুর্ধ্ব জাতীয় মহিলা দলে। আন্তর্জাতিকস্তরে এ এফ সি অনুর্ধ্ব ফুটবল টুর্নামেন্টের আসর বসেছিল উজবেকিস্তানের রাজধানী ফুটবল স্টেডিয়ামে।
গত ১৬ অক্টোবর গ্রুপের খেলায় উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে কোলাঘাটের ঠান্ডামণী বাস্কে নিজে দূরপাল্লার শটে একটা গোল করে এবং ঠান্ডামণীর পাশ দেওয়া বল থেকে আর এক খেলোয়াড় গোল করে ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয়‌ ।
এর ফলে এই প্রথমবার মহিলা ফুটবল দল এই টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল।
এদিন ঠান্ডামণী ভারতীয় দলের সাথে দমদম এয়ারপোর্টে পৌঁছায়।বিকেলে কোলাঘাটে পৌঁছানো মাত্র এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সাথে কোলাঘাট স্পোর্টস অ্যাকাডেমির সমস্ত খেলোয়াড় ও অভিভাবকরা শোভাযাত্রা করে কোলাঘাট হাইস্কুল মাঠে নিয়ে যান। চলার পথে কোলাঘাট সংকেত ক্লাবের পক্ষ হতে চন্দনের তিলক, উত্তরীয়, ফুল মালা ও স্মারক উপহার দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়। সংকেতের পক্ষে সহ সভাপতি ডাঃ শ্যামল আদক বলেন,
” কোলাঘাট স্পোর্টস একাডেমির কৃতী ছেলেমেয়েদের জন্য কোলাঘাটবাসী হিসাবে আমরা যারপরনাই গর্বিত।”
প্রশিক্ষক শুক্লা দে বলেন আমাদের অকাডেমিতে সম্ভাবনাময় অনেক ছেলেমেয়েই আছে। উপযুক্ত পরিকাঠামো ও সুযোগ পেলে তারাও নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন।
অ্যাকাডেমির অন্যতম সন্দিপ রায়চৌধুরী বলেন এইসবে শুরু, ছেলেমেয়েদের আরো বেশি করে মারমুখি হতে হবে, আরো কঠোর অনুশীলন ও পরিশ্রম করতে হবে আগামিদিনে সাফল্য পেতে হলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *