ধুলিয়ান–সামশেরগঞ্জ দাঙ্গায় নিরীহ মানুষের আর্তনাদ, সাহায্যের আরজি নিয়ে জঙ্গিপুর বিধায়ক জাকির হোসেনের দ্বারে অসহায় পরিবারগুলি।

ধুলিয়ান, মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা :- সাম্প্রতিক ধুলিয়ান–সামশেরগঞ্জ দাঙ্গার জেরে একের পর এক নিরীহ যুবককে গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রায় আট মাস ধরে জেলবন্দি রয়েছেন এলাকার একাধিক যুবক, যাদের পরিবার আজ চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

পরিবারগুলোর দাবি, “আমাদের ছেলেরা কোনো দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশ হঠাৎ করেই ধরে নিয়ে গেছে। আমরা পঞ্চায়েত, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, এমনকি এলাকার তিনজন বিধায়কের কাছেও গিয়েছি— কিন্তু কেউ সাহায্য করেননি।”

অসহায় পরিবারগুলির করুণ বাস্তবতা। জেলবন্দি যুবকদের মা-বাবা, স্ত্রী ও সন্তানরা আজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ রোজগারের একমাত্র ভরসা হারিয়েছেন, কেউ আবার ছেলের বা স্বামীর মুক্তির আশায় দিন গুনছেন। এক বিধবা মা বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ, তবুও ওকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। আমি শুধু চাই ও যেন বাড়ি ফিরে আসে।”

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ।“সামশেরগঞ্জে তিনজন বিধায়ক, একজন সাংসদ, একাধিক কাউন্সিলর, জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রধান থাকা সত্ত্বেও কেউই এই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াননি। অথচ নানা অনুষ্ঠানে তাঁদের অনায়াসে দেখা যায়। কিন্তু এই অসহায় মানুষের ঘরে গিয়ে তাঁদের কষ্ট কেউ বোঝেন না।”

এমন পরিস্থিতিতে বহু পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে,।

“যদি আমাদের ছেলেদের মুক্তির জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।”

আশার আলো বিধায়ক জাকির হোসেন। এই কঠিন সময়ে অসহায় পরিবারগুলো শেষ ভরসা হিসেবে পৌঁছায় জঙ্গিপুরের বিধায়ক জনাব জাকির হোসেনের কাছে। মানবিকতার জন্য পরিচিত এই জনপ্রতিনিধি তাঁদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সহানুভূতির সঙ্গে আশ্বাস দেন যে।

“আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনে যথাযথ আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করব, যাতে কোনো নির্দোষ মানুষ অন্যায়ভাবে জেলে না থাকে।”

প্রশংসা ও ক্ষোভ – দুই মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্থানীয় মহলে বিধায়ক জাকির হোসেনের এই মানবিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন অনেকে। অন্যদিকে, দাঙ্গার ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের নীরবতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভও তীব্র হচ্ছে।

শেষে এক অসহায় মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন। “আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। আমি শুধু চাই আমার ছেলে যেন নির্দোষ প্রমাণিত হয় আর বাড়ি ফিরে আসে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *