একাধিক সরকারি পদে বেতন তোলার অভিযোগ, বিপাকে কুশমণ্ডির তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর আলম।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- স্কুল শিক্ষকের বেতনের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তুলছেন বেতন তুলছেন। একাধিক সরকারি পদে থেকে একসঙ্গে বেতন তোলার অভিযোগে কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতেই এনিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, তিনি একদিকে স্থানীয় করঞ্জি সিনিয়র হাই মাদ্রাসায় ক্লার্ক পদে কর্মরত। অন্যদিকে কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পদেও থেকে প্রতি মাসে দুই দিক থেকেই আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডিতে। পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন বন ও ভূমি সংস্কার কর্মাধ্যক্ষ আশরাফ আলি বলেন বেআইনি ও অনৈতিক বলে অভিহিত করে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। মামলার শুনানি আগামী ৪ নভেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। আশরাফ আলির অভিযোগ, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি একাধিক সরকারি দায়িত্বে থেকে বেতন গ্রহণ করতে পারেন না। অথচ জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে দু’টি পদেই থেকে প্রতি মাসে টাকা তুলছেন।

বিরোধীরা এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন। এই বিষয়ে কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহিন আমি এক জায়গা থেকে বেতন নেই। আর দুই জায়গা থেকে বেতন নেই সেটাআদালতে প্রমাণ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মধ্যেও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। অনেকেই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনার পক্ষে। অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে আছে প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন সরগরম কুশমণ্ডির রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *