
গতকাল রাতটা ছিল ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের এক স্বপ্নময় অধ্যায়। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে রচনা হলো নতুন ইতিহাস—হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে নিল। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে ট্রফি হাতে তুলে নিলেন ভারতের মেয়েরা, আর সেই মুহূর্তে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল গোটা দেশ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তোলে ৫০ ওভারে ২৯৮ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে অলআউট হয়। ভারতীয় বোলারদের নিখুঁত লাইন-লেন্থ ও দৃঢ় মনোবল প্রতিপক্ষকে দমিয়ে দেয়। টুর্নামেন্ট জুড়ে হরমনপ্রীতের নেতৃত্ব, শেফালি বর্মার আগ্রাসী ব্যাটিং, দীপ্তি শর্মার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স এবং উইকেটের পেছনে রিচা ঘোষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভারতের জয়যাত্রাকে করেছে অনন্য।
এই জয় শুধু একটি ম্যাচের নয়, একটি জাতির নারীশক্তির উত্থানের প্রতীক। ২০১৭ সালের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারার বেদনা আজ মুছে গেছে এই সাফল্যের আলোয়। আট বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে অবশেষে বিশ্বচূড়ায় উঠল ভারতের কন্যারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছ্বাস
জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,
“আজ, সমগ্র জাতি আমাদের নারী দলের কৃতিত্বে গর্বিত। টুর্নামেন্ট জুড়ে তারা যে লড়াই, আত্মবিশ্বাস ও একতা দেখিয়েছে তা তরুণ প্রজন্মের মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তোমরাই সত্যিকারের নায়িকা!”
তিনি আরও যোগ করেন,
“গর্বিত ভারত, গর্বিত নারীশক্তি!”
দেশজুড়ে অভিনন্দনের বন্যা
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বলিউডের তারকা থেকে শুরু করে ক্রীড়াবিদ—সবাই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হরমনপ্রীতদের। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,
“এই জয় শুধু ট্রফি নয়, এটি ভারতের নারীর শক্তি, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।”
ভারতের মহিলা দলের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে আজ প্রতিটি ভারতবাসীর চোখে গর্বের ঝিলিক। ১৪০ কোটির বেশি মানুষের হৃদয়ে একটাই অনুভূতি—“নারী মানেই শক্তি, নারী মানেই জয়!”












Leave a Reply