ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে এক হাজার মানুষও গেল না বিজেপির নবান্ন অভিযানে।

নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রাম:-মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে প্রচার ছিল তুঙ্গে। কিন্তু সেই প্রচার কাজে লাগলো না। জঙ্গলমহল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে যাওয়ার জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় ঝাড়গ্রাম জেলার গিধনি স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেনটি সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাত টার বদলে দু’ঘণ্টা দেরি করে মঙ্গলবার সকাল নটার সময় সেই ট্রেন ছাড়ে। ওই ট্রেনে গিধনি স্টেশন থেকে বিজেপির মাত্র ২০০ জন, খাটখুরা স্টেশন থেকে প্রায় ৫০ জন ,ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে প্রায় ৪০০ জন,সরডিহা স্টেশন থেকে প্রায় ১০০ জন বিজেপির কর্মী ও সমর্থক ওই ট্রেনে চেপে নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য রওনা দেয়। জঙ্গলমহলের মানুষ বিজেপিকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। যেভাবে স্পেশাল ট্রেন ফাঁকা অবস্থায় গেল তা দেখে বিজেপি নেতাদের চোখে সরষে ফুল দেখার মতো অবস্থা হয়েছে। নবান্ন অভিযানকে সফল করে তোলার জন্য বিজেপির আয়োজন ছিল কিন্তু সেই আয়োজনে মানুষ সামিল হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করলেও বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা এলাকা থেকে এক হাজার মানুষও নবান্ন অভিযানে সামিল হয়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করে । ২০২৩ সালের পৌরসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম পৌরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস, খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। তখন থেকেই বিজেপির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল জঙ্গলমহল জুড়ে। নবান্ন অভিযানের আগেই ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে প্রচার করেছিল বিজেপির নেতা কর্মীরা। জঙ্গলমহল থেকে দশ হাজার মানুষ নবান্ন অভিযানে যোগ দিবেন বলে জানিয়ে ছিলেন বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি তুফান মাহাতো। কিন্তু এক হাজার মানুষ ঝাড়গ্রাম থেকে না যাওয়ায় বিজেপি নেতারা কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *