পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেছিলেন হাতির আক্রমনে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনের চাকরির,কিন্তু দীর্ঘ দুবছর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরেও মেলেনি চাকরি। অবশেষে রবিবার রাজ্যের বনমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন হাতির আক্রমনে স্বামীহারা গৌরী পাল দাস। যদিও ক্ষতিপূরণ বাবদ একলক্ষ টাকা সরকারি তরফে পেয়েছেন তিনি। রবিবার মেদিনীপুর গোপগড়ের ইকোপার্কে বন বান্ধব উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চাকরির কাতর আবেদন জানান। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঐ মহিলার নাম লিপিবদ্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারকে নির্দেশ দেন মহিলার চাকরির জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার। পরে মন্ত্রী জানান, হাতির আক্রমনে মৃতের পরিবারের সকলেই চাকরি পেয়ে গেছেন। যে সাত জন বাকি রয়েছেন, তাদেরও দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৩ সালে গোয়ালতোড়ের বালিবাঁধ গ্রামে রাতে বাড়িতে ঘুমানোর সময় হামলা চালায় হাতি, সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় সঞ্জয় পাল নামে এক ব্যক্তির। এরপর মৃতের পরিবার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা মত চাকরি পাননি মৃতের পারিবারের কেউ। ঘটনার পর গোয়ালতোড়ের শ্বশুরবাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দেওয়া হয় স্বামীহারা গৌরী পাল দাসকে। বর্তমানে ঐ মহিলা তার দুই সন্তানকে নিয়ে শালবনী থানার পাড়াহরিয়া গ্রামে থাকেন। তবে এদিন মন্ত্রীর কাছে চাকরির আশ্বাস পেয়ে আবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন স্বামীহারা গৌরী।
গোয়ালতোড়ের বালিবাঁধে হাতির আক্রমনে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ মিললেও মেলেনি চাকরি দারস্ত বনমন্ত্রীর কাছে।

Leave a Reply