হিলি তুরা করিডর দ্রুত বাস্তবানের দাবিতে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারকে স্মারক লিপি দিলেন জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- হিলি তুরা করিডর দ্রুত বাস্তবানের দাবিতে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারকে স্মারক লিপি দিলেন জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এদিন দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি চেকপোস্ট ইমাইগ্রেশন ও স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসেছিলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। এদিন তিনি পরিদর্শন শেষে হিলি ডাকবাংলার সভাকক্ষে জয়েন্টমুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর (হিলি-তুরা ভায়া বাংলাদেশ)এর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন করিডর কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস, অমূল্যরতন বিশ্বাস শঙ্কর দাস কার্তিক সাহা এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে হারুন উর রশিদ, জামিল হোসেন চলন্ত জাহিদুল ইসলাম শাহিনুর রেজা শাহীন সহ আরও অনেকে। সেখানে কমিটির তরফে করিডর বাস্তবানের যাবতীয় নথিপত্র সহকারী হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা পর্যন্ত করিডর বাস্তবানের কাজ আরও দ্রুত করার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাতায়াতকারী হলদিবাড়ি-ঢাকা মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ হিলি স্টেশনে দেওয়ারও দাবি করা হয়েছে। তাতে একদিকে যেমন বাণিজ্য শহর হিলি সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি ট্রেনের আয়ও বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করা হয়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেভেন সিস্টার রাজ্য গুলির মেঘালয়ে সড়ক পৌঁছুতে প্রায় দুই দিন সময় লাগে। পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত করিডর বাস্তবায়নের দাবি বহুদিনের। প্রস্তাবিত করিডরটি দাবিতে জয়েন্টমুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর বহুদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এটি বাস্তবায়িত হলে শুধু ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্য গুলিরই নয় বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গেরও উন্নয়ন ঘটবে।

জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির আহবায়ক নবকুমার দাস জানিয়েছেন এদিনের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে করিডরের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনাও করেছেন। আহ্বায়ক একথাও জানিয়েছেন যে ভারত সরকারের সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই হিলি থেকে তুরা পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণের টেন্ডার প্রক্রিয়াও সেরে ফেলেছে। সেই সঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন যে খুব অল্প দিনেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার জানিয়েছে করিডরটি চালু হলে দুই দেশের যোগাযোগের উন্নতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনও আরও নিবিড় হবে। দ্রুত করিডর বাস্তবায়নের জন্য তিনি সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *