পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগ মাছকে কেন্দ্র করে সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহনে উৎসাহীত করে চলছে।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগ মাছকে কেন্দ্র করে সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহনে উৎসাহীত করে চলছে। মাছ চাষি, মাছ বিক্রেতা, মাছ আহরনকারীরা যেমন উৎসাহীত হচ্ছে তেমনি অনেক মানুষ মাছ কে কেন্দ্র করে জীবিকা গ্রহনের নতুন দীশা পাচ্ছে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে মাছ ফেরিওয়ালাদের জন্য প্রকল্প রূপায়ন হচ্ছে। এরি মধ্যে উল্লেখ্য এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে এক মাছ ফেরিওয়ালা। অনাথ ভিক্ষে করে বেঁচে থাকা থেকে মাছ বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়ানোর জীবন কাহিনী জয়দেব মুনিয়ানের। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকার মাছ ফেরিওয়ালা বিক্রেতা জয়দেব। ছোট বেলায় বাবা মা মারা গেলে প্রায় ভিক্ষে করে জীবন চলত। পরে কলকাতা চলে গিয়ে লোকের বাড়িতে বাসন মাজা কাপড় ধোয়া, দোকানে কাজ করা, ছোটখাট কারাখানায় কাজ করে কোনো মতে চলতো। এক মাছ বিক্রেতার সাথে ভাব হয়ে তার মাছ আড়ত থেকে এনে দিতো, ওতে কিছু টাকা মিলতো, সেই থেকে মাছ বিক্রির বিষয় একটু একটু জানলো। পরে সেই জয়দেব শুরু করে মাছ বিক্রির ব্যাবসা। আঠাশ টাকা নিয়ে মাছ ব্যাবসা শুরু করে, পরে নন্দীগ্রামে এসে ৬ বিঘা জমি কিনলো। নন্দীগ্রাম সোনাচূড়া গ্রামে এসে মাছ ফেরিওয়ালা হয়ে মাছের ব্যাবসা চালিয়ে গেল। মাছ বিক্রির কোনো দোকান না করতে পারলেও, ব্লক মৎস্য দপ্তরের সহায়তায় বঙ্গ মৎস্য যোজনা বা প্রধান মন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় মাছ ফেরি করার জন্য মোটোর সাইকেল সহ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মাছের বাক্স করেছেন। জয়দেব এও জানান, মাছ বিক্রি থেকেই তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। জয়দেব জানান নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু স্যারের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। এলাকার মৎস্য উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সুমন সাহু জানান,“সামান্য পুঁজি নিয়েও মাছ চাষ বা ব্যাবসায় নেমে সাফল্য অর্জন করা যায়, জয়দেব বাবুর মতো মাছ বিক্রেতা অনেকের কাছে উৎসাহ দেবে, মাছ কেন্দ্রীক উপার্জনে মৎস্য দপ্তরের প্রকল্প রয়েছে এই সুবিধা সকলেই গ্রহন করতে পারেন”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *