জমির অধিকার ও মাথার উপর চাঁদ ও শান্তিতে বাঁচতে চাওয়ার দাবিতে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ ও পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির।

কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও জমির অধিকার ও মাথার উপর ছাদ, পেটে ভাত এবং শান্তিতে বাঁচতে চাওয়ার দাবিতে জেলাশাসকের দপ্তর ডেপুটেশন। এদিন কোচবিহার জেলা উদ্বাস্তু কলোনী ও পশ্চিমবঙ্গ উদ্বাস্তু উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে কোচবিহার জেলা শাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দেন। এদিন তারা কোচবিহার জেলা পার্টি অফিস থেকে মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে জেলা শাসকের করনে আসেন। সেখানে তারা বিক্ষোভ দেখান এবং কয়েকজনের প্রতিনিধি গিয়ে জেলা শাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দেন। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা উদ্বাস্তু কলোনী সম্পাদক মহানন্দ সাহা, সভাপতি দিলীপ বিশ্বাস,পশ্চিমবঙ্গ উদ্বাস্তু উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক সাধন দেব,সভাপতি সন্তোষ বাগচী সহ আরও অনেকে।

তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ ও পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে কলোনি ও বস্তিবাসীর জমি অধিগ্রহণের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হয়েছিল। বিগত দিন গুলিতে আর আর দপ্তরে ও ডি এল আর ও দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তাই কোচবিহার জেলায় ১৫৬ টি কলোনি এখনও অনুমোদন হয় নি। সেই কলোনী গুলোর অনুমোদন দেওয়া, জেলায় হাজার হাজার পরিবার সরকারি খাস জায়গায় বনবস্তি, চা বাগানে, রেলস্টেশনের ধারে, কয়েক দশক ধরে বসবাস করছে। তারা কেউ কলোনি, কেউ স্থানীয়,কেউ আদিবাসী, সংখ্যালঘু ইত্যাদি সম্প্রদায়ের মানুষ। জমির কাগজ না থাকায় সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের যাতে জমির কাগজ গুলো দেওয়া হয়, ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছে না। জব কার্ড হাতে নেই। কাজ নেই। অর্থনৈতিক তীব্র সংকট এই অংশের মানুষেরা। এই পরিবার গুলি একটা বড় অংশ পুরুষ পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে বাইরে কষ্টের মধ্যে আছে। তারা ফিরতে চায়, কাজ চায়। আপনার কাছে আমাদের দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনয়ের সাথে আবেদন আগামী বছরের শুরুতে জেলার সমস্ত করণীয় বস্তুগুলিতে প্রশাসনিক সার্ভে করা দরকার, শহরের ১৮ নং ওয়ার্ডে রাজার বসানো কলোনি রয়েছে সেই কলোনির মানুষের জমির কোন কাগজ এখনো হয়নি শহরের বস্তি গুলির পাটটা নেই বলে হাউসিং ফর অল প্রকল্প থেকে তারা বঞ্চিত। আবার রেললাইনের ধারে থাকা বাঁধের পাড়ে থাকা চা বাগানে থাকা মানুষের উচ্ছেদ করার হুংকার মাঝেমাঝে দেওয়া হচ্ছে। পৌর বাজেটে ২৫ শতাংশ টাকা শহরের বস্তিতে খরচ করা হোক। হরিজনদের চাকরি সুযোগ কেড়ে নেওয়া চলবে না। সরকারি দপ্তরে দপ্তর গুলিতে হরিজনদের নিয়োগ করতে হবে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজ জেলাশাসকের কারণে স্মারকলিপি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

এদিন এবিষয়ে কোচবিহার জেলা উদ্বাস্তু কলোনী সম্পাদক মহানন্দ সাহা,আজ আমরা কোচবিহার জেলা এমসিআরসি ও পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে জেলা শাসকের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ডেপুটেশন দিতে এসেছি। যেহেতু আজ কলোনি দিবস। সেই দিবসের দিনে আমরা আমাদের কলোনি ও বস্তিবাসীদের জন্য সবার জন্য কাজ চাই,জমির পাট্টা চাই, মাথার উপর ছাদ চাই, জমির কাগজ চাই। মূলত এই সব বিষয় নিয়ে আজকে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *