নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নবদ্বীপে এবার তৈরি হচ্ছে প্রায় চল্লিশ ফুটের শিব মূর্তি বা আদি যোগী শিব মূর্তি। নবদ্বীপ শহরের কপালীপাড়া এলাকায় মৃৎশিল্পী গৌতম পাল ও তার পনেরো জন সহোযোগি শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় তৈরী হচ্ছে এই মূর্তি।
শিল্পী গৌতম পাল জানান বংশ পরম্পরায় তারা এই পেশায় আছে, অতীতে বাংলাদেশ সহ ভিন রাজ্য একাধিক বার তার নিপুন শিল্প কলায় ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন দেব দেবীর মূর্তী, তবে এরূপ বৃহৎ আর আদী যোগির মূর্তি এই প্রথম বার তৈরি করছেন।
তিনি আরও জানান মোট প্রায় দু মাস সময় লাগছে এই মূর্তী তৈরি হতে, যেখানে নবদ্বীপ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মোট পনেরো(১৫) জন মৃৎশিল্পী কারিগর রোজ কাজ করে চলেছে।
প্রথমে বাশের বাতা, দিয়ে স্ট্রাকচার, পরে তাতে দরমা ও পরে মাটি ব্যাবহার করা হয়েছে, এবং তারপর প্যারিস দিয়ে কাজ হচ্ছে,
তিনি আরও জানান এটি কয়েকটি পার্ট বা খন্ডে করে তৈরী করা হচ্ছে যাতে ভিনরাজ্যে পাঠাতে সুবিধা হয়।
তিনি আরও বলেন রং সহ বাকি কাজ ত্রিপুরাতে মন্ডপে বসিয়ে করানো হবে,
আগামী সপ্তাহেই পারি দেবে ভিন রাজ্যে,
কিন্তু নবদ্বীপ থেকে ভিনরাজ্যের এত বড় বরাত কিভাবে? প্রশ্নের উত্তরে মৃৎশিল্পী গৌতম পাল বলেন নবদ্বীপের এক মন্ডপ শিল্পী বা প্যান্ডেল ব্যাবসায়ী কমল সাধুখা, তিনি ত্রিপুরাতে এবছর একটি পুজো মন্ডপ তৈরী করছেন তামিল নাড়ুর কোয়েম্বাটুরের থিরুনামে
আদিযোগীর আদোলে, আর তার মাধ্যমেই এই কাজের বরাত,।
( আদিযোগী শিব মূর্তি হল ৩৪-মিটার-লম্বা (১১২ ফু), ৪৫-মিটার-দৈর্ঘ্য (১৪৭ ফু) এবং ২৫-মিটার-প্রস্থের (৮২ ফু) ইস্পাতের তৈরি একটি শিব মূর্তি, যা তামিল নাড়ুর কোয়েম্বাটুরের থিরুনামে অবস্থিত। এটি গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে বিশ্বের “সৰ্ববৃহৎ আবক্ষ ভাস্কর্য” হিসাবে স্বীকৃতি পায়।)
Leave a Reply