কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি ও কাঁথি পুরসভার পুর প্রধান সুপ্রকাশ গিরি এবং কাঁথি জেলা তৃণমূল সভাপতি পিজুস কান্তি পন্ডাকে সঙ্গে নিয়েই কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাইতি হাটে বুথ ভিত্তিক কর্মীসভাও করেন উত্তম বারিক।

0
16

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ- এক‌ দিকে চৈত্রেই তীব্র দাবদাহ। সঙ্গে রয়েছে কাল বৈশাখীর মতো হঠাৎ ঝড়ের আশঙ্কা। প্রাকৃতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখেই প্রচারের রূপরেখা তৈরি করতে হচ্ছে রাম-বাম-ডান সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। দেশে সাত দফায় লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়েছে। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি এবং তমলুক কেন্দ্রের নির্বাচন। প্রায় দু’মাস পরে ভোট। এই সময়ে চলছে প্রচার। পোড়া চৈত্রের কাঠপাটা রোদ মাথায় নিয়ে এক বিধানসভা থেকে আরেক বিধানসভা ছুটে বেড়াচ্ছেন সব দলের প্রার্থীরা। লক্ষ্য একটাই – মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার আগে যত বেশি সম্ভব জনসংযোগ। কিন্তু দিনের বেলা বাড়লেই ভাটা পড়ছে সেই প্রচারে। সৌজন্য রোদের দাপট। ওই সময়ে ঘরের মধ্যে কর্মী বৈঠক সেরে সব দলেরই প্রার্থীরা বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নানা কর্মসূচি করছেন। কাঁথির তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিকের সমর্থনে রামনগর বিধান সভাজুড়ে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন দিনভর রামনগর ২ নম্বর ব্লক জুড়ে প্রচার করেন উত্তম। কখনও মন্দিরে পুজো দিয়েছেন, মোটর বাইক র‍্যালি করেছে, আবার হেঁটে জন সংযোগ সারছেন তিনি। পাশাপাশি রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি ও কাঁথি পুরসভার পুর প্রধান সুপ্রকাশ গিরি এবং কাঁথি জেলা তৃণমূল সভাপতি পিজুস কান্তি পন্ডাকে সঙ্গে নিয়েই কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাইতি হাটে বুথ ভিত্তিক কর্মীসভাও করেন উত্তম বারিক। পাশাপাশি সটিলাপুরেও কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। উত্তম বারিক বলছেন, সমস্ত জায়গায় মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে ভোট এখনও অনেক বাকি। তাই দলের কর্মীদের পাশাপাশি, নিজেও যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ি, সে জন্য সতর্ক থাকছি। তিনি আরও বলছেন, “সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য একটু বেলা বাড়ার পর জন সংযোগ বন্ধ রাখছি। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে আমরা ২ লক্ষ ভোটে জিতবই। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, আমরা বুথ ভিত্তিক কর্মী সভায় জোর দিয়েছি। বিজেপি মানুষকে সিএএ এবং এনআরসি’র ভয় দেখাচ্ছে। যতই যাই করুক মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করবে।