নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সীমান্তবর্তী এলাকায় মানুষের জীবন যন্ত্রণার কথা। এখানকার বেশীর ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক কেউ ভারতের অঙ্গ রাজ্যে আবার কেউ ভারতের বাইরে আরব দেশে কাজের সুবাদে রয়েছে।রানাঘাট লোক সভার কৃষ্ণগঞ্জ বিধান সবার মাটিয়ারী বানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ টা বুথ প্রায় ১২ হাজারে অধিক ভোটার। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির মধ্যে-গেদে,মাটিয়ারী,ফুলবাড়ী,বানপুর,বিজয়পুর,আদিবাসীদের গ্রাম কুনেচাঁদপুর এবং হরিশনগর।ভোটার আই কার্ড জমা, নাম নথিভুক্ত করে তবেই জমি বা ক্ষেতে কাজ করতে যাবার অনুমতি মেলে। সব নির্ভর করে সীমান্তরক্ষী অপর।এই জায়গাই মজুর কম থাকায় বাংলার বাইরে যেতে হয় নির্মাণকর্মী সহ অন্যান্য দের।কোভিদের কারনে বর্ডার বন্ধ ছিল।পুনরায় বর্ডার খোলা আছে মৈত্রী এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য মানুষ বর্ডারে এপার ওপার করতে পারে। মাটিয়ারী গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ মিত্র বললেন……
এলাকায় কৃষি অবস্থা খুব খারাপ অর্ডারের ওপারে বাংলাদেশের চাষ করাটা খুবই ভাগ্যের ব্যাপার যদি বাংলাদেশের ওরা অত্যাচার করে তখন এই দেশের মানুষরা কোন রকম প্রতিবাদ করতে পারে না আমাদের এলাকা বর্ডারের ধার দিয়ে যেসব এলাকার রয়েছে সেইসব এলাকার কৃষি ব্যবস্থা খুবই খারাপ খুবই নির্মমুখী এখানকার কৃষকরা কিছু কিছু এখানেই থাকে অন্যান্য জায়গায় কাজ করে কখনো কখনো সবজির দাম বাড়ে আবার কখনো কখনো কম থাকে… তখনকার দিনে এমপির সাপোর্ট ছিল কিন্তু এখনকার বর্তমানে এমপিরা দেখেও না সাপোর্ট করে না। দাসপাড়ার শেফালী দাস কাঁটাতারের পাশে যেই অঞ্চলগুলি রয়েছে সেই অঞ্চল গুলির মানুষরা কোন রকমের সুবিধা পাচ্ছে না তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিকঠাক নেই বাড়িঘর ঠিক নাই বৃষ্টির সময় ছাদ থেকে জল পড়ে কোনরকম কাজ বাজ এর ব্যবস্থা নেই চাষ করে তারা যেটুকুনি রোজগার হয় সেইটুকুনি রোজগড়ে তাদের সংসার চালায়। বানপুর মাটিয়ারী গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাএ সদস্যা বুলবলি দাস বলেন,বুলবুলি দাস বলছেন………….
আমি একজন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যা। পঞ্চায়েত তৃণমূলের,সেজন্য আমাকে কোন রকমের কোন কাজ দেওয়া হয়নি। তবে জগন্নাথ সরকার ছিল। তখনও কোনরকম কাজ হয়নি মানুষ যদি আমার কাছ থেকে সাহায্য চায় তাহলে আমি অবশ্যই সাহায্য করবো তাদের। সুমিতা দালাল বলেন,সরকার থেকে কোনরকম সাহায্য পাইনি এইসব মস্ত এলাকার মানুষরা বর্তমান যিনি এমপি রয়েছে তিনি কোন রকমের সাহায্য করেন না তাদের তাকে শুধু ভোটের সময় দেখা গিয়েছিল ভোটের পর আর দেখা যায়নি তাকে।দাসপাড়া,দরগাপাড়া,শিবপাড়া,বাজার পাড়া এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চায়নি।ভোটার বা আধার কার্ড জমা দিয়ে,নাম নথিভুক্ত করে চাষ করতে যেতে হয়। জানান এক দিন মজুর। সকাল ছটা থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত স
ময়ে মধ্যে জমির মালিক ও দীন মজুর রা নির্দিষ্ট গেট দিয়ে ঢুকতে হবে নিজের জমিতে চাষ করতে। একি অবস্থা ভজনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের। ভজনঘাট,নোনাগঞ্জ,পুটি খালি এবং নালুপুর এলাকার উন্নয়ন হয়নি গেদে বর্ডারে একটু রাস্তার কাজ হয়েছে। বাকি কাজ অধুরায় থেকে গেছে। জল ও বাথরুম পায়খানা ছাড়া কোন উদ্বোধন করতে দেখা যায় নি।কুনেচাঁদপুর কিছু টা আদিবাসী বাকী টা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসবাস । তারা পরিষ্কার জানায় অলকেশ দাস কেই ভোট দেবে আমাদের প্রতিনিধি কে পরিস্কার জানিয়েদেন। তবে ভোটের আগে মুখ খুলতে নারাজ এলাকার বাসিন্দাদের।অনেকেই জানান,তারা অলকেশ দাস কেই চান। কারন আমাদের কথা মনে রাখে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় মানুষের জীবন যন্ত্রণার কথা।

Leave a Reply