দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মারধরের ভয়, হাসপাতাল ছেড়ে পালালো রোগী! শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হলুস্থুলু পরিস্থিতি তৈরি হয় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শহরের শিবতলী এলাকায় তার আত্মীয়র বাড়ি থেকে মামনি বর্মনকে উদ্ধার করে এম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন তার পরিবারের লোকেরা। তাদের প্রশ্ন কেন রোগীকে মারধর করা হবে ? শুধু তাই নয় সরকারী হাসপাতালের ভেতর থেকে সকলের নজর এড়িয়ে একজন অসুস্থ রোগী কিভাবে পালিয়ে গেল তা নিয়েই সরব হন রোগীর পরিবারের লোকেরা।
জানা গেছে, তপনের বালাপুরের বাসিন্দা মামনি বর্মন শুক্রবার তার স্বামী বাসুদেব বর্মনের সাথে বেড়াতে বেরিয়ে মোটর বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পান। ঘটনার পরেই পরিবারের লোকেরা তাকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। যে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডেই চিকিৎসা চলছিল মামনির। এদিন সন্ধ্যায় যেখান থেকেই আচমকা গায়েব হয়ে যান ওই রোগী। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতালে ফিরে স্ত্রীর এমন আচমকা গায়েব হওয়ার খবর পেয়ে রীতিমত চমকে ওঠেন স্বামী বাসুদেব বর্মন। এরপর খোঁজাখুঁজি করতেই শহরের শিবতলী এলাকায় তার আত্মীয়র বাড়িতে চলে যাবার খবর পান বাসুদেব। ঘটনা জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঠিয়ে এম্বুলেন্স পাঠিয়ে অসুস্থ রোগী মামনি বর্মনকে তড়িঘড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। যদিও প্রথম থেকেই মামনির অভিযোগ, সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে তাকে মারধর করেছে সেখানকার সাদা পোশাকের কর্মীরা। যদিও তাদের নাম জানেন না তিনি। সকাল থেকেই তাকে মারধর ও অত্যাচার করা হয়েছে তাকে, যে ভয়েই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। স্ত্রীর মুখ থেকে এমন ঘটনা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান স্বামী বাসুদেব বর্মন। সরকারি হাসপাতালে একজন অসুস্থ রোগীকে কেন মারধর করা হবে সে প্রশ্ন তুলে সরব হন তিনি। যদিও এরপরে সরকারী হাসপাতালের উপর আর ভরসা রাখতে পারেননি বালাপুরের বাসিন্দা পেশায় কৃষক বাসুদেব বর্মন। এদিন রাতেই হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। যদিও ওই রোগীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
রোগী মামনি বর্মন জানিয়েছেন, তিনি যে ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন সেখানকার সাদা পোশাক পড়া কর্মীরা কর্মীরা তাকে মারধর ও অত্যাচার করেছে। ভয়ে নিজের জীবন বাঁচাতে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।
স্বামী বাসুদেব বর্মন বলেন, সরকারি হাসপাতালে কেন রোগীকে মারধর করা হবে তা তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ঝামেলা না বাড়িয়ে স্ত্রীকে ছুটি করিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
মারধরের ভয়, হাসপাতাল ছেড়ে পালালো রোগী!

Leave a Reply