পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ – বয়স মাত্র ১৮ বছর, সবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার গোপালনগর এলাকার গুড়চাকলি গ্রামের মেয়ে মৌমিতা প্রামানিক। ছোটো থেকেই তাঁর পড়াশোনার পাশাপাশি নেশা ছিল ছবি আঁকার, তাই ছোট থেকেই কখনও স্লেটে বা খাতায় পেন পেন্সিল দিয়ে আঁকিবুঁকি করত সে, আর সেই ছোট্টবেলার আঁকিবুঁকি হাত আজ তুলির টানে যেন জীবন্ত ছবিতে পরিনত করেছে। তাঁর স্বপ্ন একটাই রং, তুলি হাতে ভালো শিল্পী হওয়া,সেই মতো পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে শুরু করে মৌমিতা। শুধু কাগজের ওপর রঙ বোলানো নয় তাঁর হাতের তুলি গিয়ে পৌঁছেছে মাটির সরায়, বা কখনও পাঞ্জাবি কিংবা বিভিন্ন আসবাবপত্রের ওপর। আর সেই মাটির সরায় বিভিন্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তুলি ধরা তাঁর নিখুঁত হাতের টানে। তাঁর আঁকা ছবিগুলোর মধ্যে যেন প্রাণ রয়েছে। হয়তো হাসিমুখে কিছু বলতে চায় ছবিগুলি, আর এমন কিছু ছবি এঁকে তাক লাগিয়েছে সে। কখনও কখনও সময় সুযোগ পেলেই রং তুলি হাতে একা আপন মনে বসে পড়ে মৌমিতা , ছবি আঁকাই যেন তাঁর গভীর নেশা। তবে এই নেশাকে ভবিষ্যৎয়ে পেশা হিসেবেই বেছে নিতে চায় মৌমিতা প্রামানিক। তাঁর বাবা নিমাই প্রামানিক সরকারি চাকরি করেন, তাঁর মা প্রতিমা প্রামানিক ঘরের কাজ সামলান। তিন মেয়ের মধ্যে মেজো মেয়ে ছবি আঁকায় পটু। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ছবি এঁকে পুরস্কার ঘরে তুলেছে মৌমিতা। হাতে রং তুলি নিয়ে ক্যানভাসে জীবন্ত ছবি ফুটিয়ে তোলায় তার মূল্য। আর সেভাবেই সে তার ভবিষ্যতে শিল্প সত্তাকে বজায় রেখে এগিয়ে যেতে চায়।
রং,তুলি হাতে নিয়ে শিল্পী হওয়ার ভাবনায় এগিয়ে চলছে পাঁশকুড়ার গোপালনগরের মৌমিতা।

Leave a Reply