
পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার গোসাইবেড় এলাকায় শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত রাতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল পাঁশকুড়ায়।এক নাবালকের বিরুদ্ধে সামান্য একটি চিপসের প্যাকেট চুরির অপবাদ দেয় স্থানীয় এক দোকানদার শুভঙ্কর দীক্ষিত যিনি সিভিক পুলিশও বটে। এরপরেই অপবাদ সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খায় ওই নাবালক। গতকালকেই তমলুক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই নাবালকের মৃতদেহ নিয়ে অভিযুক্ত সিভিক এর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা এমনকি সিভিক এর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পাঁশকুড়া পুলিশের সাথেও বচসায় জড়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এরপরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, এখনো পর্যন্ত ঘটনায় ৬ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ। যে ফুটেছে দেখা যায় সাইকেল নিয়ে দোকানে আসে ওই নাবালক। সাইকেল দাঁড় করিয়ে দোকানের ভেতরে যায় এরপরে কিছুক্ষণ পরে বাইরে আসে। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে দোকানদারকে। কাউকে দেখতে না পেয়ে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেট তুলে নিয়ে চলে যায়। অন্য একটি ফুটেজে দেখা যায়, কৃষ্ণেন্দু কে নিয়ে তার মা দোকানে আসে। সেখানে তিনি তার ছেলেকে শাসন করছেন এমনটাও সিসিটিভি ফুটেজ এ প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় ওই দোকানদার কে দেখা যায় ওই নাবালককে তিনি আগলে রাখছেন। শুভঙ্করের বাবা সূর্যকান্ত দীক্ষিত জানান তার ছেলে নির্দোষ, চক্রান্ত করে তাদের দোকানে তালা মেরে দেয়া হয়েছে।পলাতক দোকানদারের স্ত্রী নিশা দীক্ষিত বলেন,২০০-২৫০ জন এসেছিল। প্রত্যেকের হাতে বাঁশ-লাঠি ছিল। ওরা বলে, এর এক বাচ্চাকে নিয়ে আয়। বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে রয়েছি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, সঠিক বিচার হবে। তবে নাবালকের মা সুমিত্রা দাস তার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন ওই সিভিক এর পরিবারকেই।এবং কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন।












Leave a Reply