মালদার বুলবুলচণ্ডী স্কুলে বিতর্ক – ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে কটুক্তির অভিযোগে ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজে শোরগোল।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: স্কুলে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে হুঁশিয়ারি , যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন,উচ্চস্বরে কটুক্তি আঙ্গুল কুচিয়ে কথা, তৃণমূল এর শ্রমিক নেতা তথা স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির।ইতিমধ্যেই সেই মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হইচই পড়েছে জেলা শিক্ষা মহলে।যদিও সংবাদমাধ্যম ভিডিও সততা যাচাই করেনি।এই ঘটনার খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান হবিবপুর ব্লক অপর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রাণতোষ সাহা।তিনি বলেন, সমস্যার বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। অবিলম্বে বিদ্যালয়ের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে। ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী আর এন রায় বিদ্যানিকেতন বালিকা বিদ্যালয়

এদিনের এই ঘটনায় পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা।যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার সাথে কোন খারাপ আচরণ করা হয়নি শাফাই পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল শ্রমিক নেতার। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর ।

জানা যায় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে ছুটি না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় বিদ্যানিকেতন বালিকা বিদ্যালয়ে। ছুটি না পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবোধ রায়কে জানিয়ে নালিশ শিক্ষিকার। ঘটনা জানতে পেরে পরের দিন বিদ্যালয়ে এসে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ঝুম্পা মজুমদারকে একাধিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন ভাবে অপমান ও চিৎকার চেঁচামেচি আঙ্গুল কুঁচিয়ে কথা শুরু করেন সুবোধ বাবু বলে অভিযোগ।পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার যোগ্যতা নিও কটুক্তি করা হয় ঘটনার সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে জেলা শিক্ষা মহলে শোরগোল পড়েছে।সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষিকা চিৎকার করে কা কান্নাকাটি করছেন এবং পরিচালন সমিতির সভাপতি রীতিমতো আঙ্গুল উচিয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে উদ্দেশ্য করে একাধিক মন্তব্য করছেন। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আর বাংলাl l

ঘটনা প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ঝুম্পা মজুমদার বলেন, সুবোধবাবু বিদ্যালয়ে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করে বিভিন্নভাবে আমাকে অপমান করতে থাকে। ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে তিনি এত অপমানিত হননি।আমি এবং আমার সহকারী শিক্ষিকা রাও এই বিষয়ে শঙ্কিত। পরিচালন সমিতি স্কুলে যবে থেকে গঠন হয়েছে তবে থেকেই পরিচালন সমিতির সভাপতি আমার সাথে উত্তপ্ত কুটুক্তি কথা বলেন আসলে তিনি মিড ডে মিল আমাদের হাত থেকে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরিচালন সমিতির যে কমিটি গঠন হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ । কারন টিয়ার সিলেকশন না করলে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।তিনি কোনদিনও কোন ক্ষেত্রেই নিয়ম প্রথম থেকেই মানছেন না।আমার এই চেয়ারে বসার যোগ্য নেই এমনও মন্তব্য করেন সুবোধবাবু । রীতিমতো ঘটনা পর থেকেই আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছে পরিচালন সমিতির সভাপতি এর এরকম ব্যবহার বিষয়ে হবিবপুর ব্লকের ভিডিও ও জেলা শিক্ষা দপ্তরের বিষয়টি জানানো হয়েছে ।

যদিও প্রধান শিক্ষিকাকে কোনরকম অপমান জনক কথাবার্তা হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়নি অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সুবোধ রায়।তিনি জানান দীর্ঘদিন ধরে মিড ডে মিলের নিম্নমানের খাওয়া-দাওয়ার অভিযোগ এর পাশাপাশি স্কুলে পড়াশোনা লাটে উঠেছে শিক্ষিকারা দল বেঁধে ছুটি নিচ্ছে সেই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে বলা হয়েছে তাতে উনিই দুর্ব্যবহার করেছেন

ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলা ডি আই কে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ে এত জন শিক্ষিকা নেই বিষয়টি জানতে পেরেই আমি বিদ্যালয়ে এসেছিলাম। পুরো বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু পাল্টা মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *