বিষেরবাঁশী : সুমন বিশ্বাস।

0
440

আমি এক বিষবৃক্ষ
কোনো এক দ্বীপে একাকী বেড়ে ওঠা জীবন্ত বিষবৃক্ষ
এ পোড়া দেহে কত চিল শকুনের দল
মৃতদেহ ভাগাভাগি করে
কত কাঠুরিয়া উপড়ে ফেলতে চায় গোড়া থেকে
তবু এই বিষের জ্বলন্ত লেলিহান শিখায়
নিজেকে জ্বালাতে পারিনি আজও
হয়তো বা কোনো একদিন,
কোনো এক পরিযায়ী এ ডালে বসবে
বাসা বাঁধবে, গল্প করবে আমার সাথে,
খিলখিলিয়ে হাসবে আবার কখনও বা কাঁদবে
ভুলেই যাবো এ দেহো দগদগে বিষে ভরা নীলাভ জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি
মরশুম শেষে পরিযায়ীরাও আস্তানা বদলায়, সেও বদলাবে
আমার দেহ নিংড়ে কোনো পরিযায়ী কখনোই নীলকন্ঠ হতে পারবে না
কখনও হাত বুলিয়ে বলবে না এই বিষের দ্বায় আমারও
এই দেহের ছটফটানি একান্ত নিজের
এ বিষেরবাঁশীর শব্দ কেউ শোনে না
কেউ বুঝবে না এর এক একটা অক্ষরের মানে
ঠিক এমন করেই বহু পরিযায়ী আসবে, বসবে এ ডালে গান শোনাবে
চলেও যাবে হঠাৎ করেই
তবে আমি থাকবো,
নিজের বিষে নিজেই নীলকন্ঠ হবো।
তারপর?
তারপর না’হয় এক শান্ত বিকেলে ক্লান্ত শরীরে অন্ধকারের কাছে ধরা দেবো
সেও হবে একান্তে আমার,
আমি বসে বাঁশি বাজাবো
বিষেরবাঁশী।।