নিমাই জানার তিনটি কবিতা।

মেগাস্থিনিস ও পরজীবী কবিতা

একটি হত্যা সংক্রান্ত কবিতা লেখার জন্য আমি একটি স্ট্রিটলাইটের সোডিয়াম ভেজা বিষধর কম্পাঙ্কের গুঁড়ো খাই কুয়াশার আম্লিক দ্রবণ মিশিয়ে
তরল হাইপোগ্লাইসেমিয়ার মতো আদিত্য পুরুষেরা পাতলা পোশাকের নিচে ক্রমশ আদিম হয়ে ওঠে পাথুরে অস্ত্র পরে
পার্বত্য ক্ষেত্রের মতো দ্বিধাতব অথচ অভিযাত্রিকেরা মৃত বলে মনে করেনি নিজেদের আবছায়া রক্তস্রাবকে,
ঘোড়াটির মতো কাক ও কখনো অবৈধ মৃত্যুর সংক্রমণকে ছুঁয়ে যায় হলুদ মেগাস্থিনিসের মতো
ধারাপাতের শেষ পৃষ্ঠায় বসে থাকা হরিণেরা পরজীবীর শরীরে আটকে যায় ক্রমশ গ্রন্থিপোকা হয়ে
সকলের রেশমের পোশাকের নিচে বাই কালারের চন্দন ধোঁয়া, ধূপগন্ধের উপপাদ্যকে লিখছেন স্তনবিহীন নারী

পৃথ্বীরাজ ও চতুর্ভুজ শ্মশান

এই রৌরব অস্ত্রাগারে থাকার পর নারীরা কতোবার সূক্ষ্ম বিন্দুর মতো উড়ে বেড়ায় ছায়াছবি মাখা আমলকি বনের সমান্তরাল প্যারাসিটামল ব্যাসার্ধ জুড়ে
সকলেই অপ্রকৃত ভগ্নাংশ চিহ্ন মাথার কাছে রেখে বসে থাকে শ্মশানের চতুর্ভুজ কোণের দিকে মুখ করে
তরল অগ্নিদগ্ধ বাকলের কাছে ঈশ্বরীরা উলঙ্গ জীবাশ্মকে পূর্ণিমার চাঁদ ও সুস্বাদু কঙ্কাল ভেবে খেয়ে নেয়
রাতের পরিযায়ী পুরুষেরা একটি দীর্ঘতর মানুষের পায়ের নিচে গোখরের বিষাক্ত জমাট ছায়াকে পৃথ্বীরাজ ভেবে রাখে লবণাক্ত দ্রবণে ডুবিয়ে
এই সময় বৈষ্ণব পদাবলী পড়া উচিত ভোরবেলায় , আর কোন নতুন জন্মবার্ষিকী নেই বলে উত্তুরে বাতাসের বড় কষ্ট,
শ্মশান ফুল বেড়ে উঠছে প্রিটোনিয়ার তাপমাত্রার সাথে

মহর্ষি ও লিটমাস জ্যামিতি

দুঃসময় এলে নিরাভরণ পাখিরা বিয়োগান্ত কবিতা লেখে

পূর্ণিমার চাঁদের নিচে দাঁড়ালে মনে হয় আমার কঙ্কাল হীন শরীরের শিরদাঁড়ায় কোন এক ধাতব পুরুষ একাধিক পেরেক পুঁতে দিচ্ছে মাংসল পা দিয়ে
আমি অন্ধকার হাতড়ে বেরিয়ে আসছি লাল মাটির গভীর কৃষ্ণকায় ক্ষেত্রফলের ভেতর দিয়ে
কোন পুরুষেরই উন্মুক্ত নাভিমূলে শিশ্ন রাশিমালা পৃষ্ঠদেশের লাইকোপোডিয়াম পোশাকের মতো লাগাম ছিল না
তাদের জিহ্বায় এক হত্যাকারীর অবয়ব লেগেছিল শুধু , দৈর্ঘ্যহীন বিছানার তলায় স্থানাঙ্ক জ্যামিতির উচ্চরক্তচাপ আছে বলে ক্রমশ হারিয়ে গেছে নিরাকার ভঙ্গিল পর্বতের অবিনশ্বর সমাঙ্গ দেহ
তলপেটের ভেতর ভেজা লাল লিটমাসের কুয়াশা ভরে রাখি আমাদের ৮০ লক্ষ যোনি চিহ্ন দিয়ে  , শীতের রোদন চিহ্নের মতো পাশে বেজে উঠছে চৈতন্যচরিতামৃত , ঈশ্বর কতোকাল ভালো করে পাশ ফিরে ঘুমাননি
উত্থান একাদশীর পর হাতে  নির্বিকার ঋতুচক্র নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন মহর্ষি একজনের কাছে
ঈশ্বর পাতলা চেহারা হয়ে ঝুলে আছেন বাড়ির বারান্দায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *