আবার দেখা যাচ্ছে বামনগোলা ব্লকের হরিশঙ্করপুর থেকে নালাগোলা হয়ে পাকুয়াহাট এবং ১২ মাইল পর্যন্ত বালি, মাটি ভরতি ট্রলি,লরি ছুটছে রাজ্য সড়ক দিয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-কিছুদিন আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়িতে মাইক বেঁধে প্রচার করা হয়েছিল, অবৈধ ভাবে বালি, মাটি তুলে পাচার করা যাবে না। পুলিশের নজরে পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারপর কিছু দিন অবৈধভাবে বালি, মাটি পাচার বন্ধ ছিল। অথচ এখন আবার দেখা যাচ্ছে বামনগোলা ব্লকের হরিশঙ্করপুর থেকে নালাগোলা হয়ে পাকুয়াহাট এবং ১২ মাইল পর্যন্ত বালি, মাটি ভরতি ট্রলি,লরি ছুটছে রাজ্য সড়ক দিয়ে। সেগুলো কোথা থেকে আসছে, কোথায় যাচ্ছে কেউই জানতে পারছে না। অভিযোগ, যাঁদের জানার কথা সেই প্রশাসনও নিরুত্তাপ। কোনো হেলদোল নেই। তাই বাধ্য হয়ে এমনই অভিযোগ নিয়ে বামনগোলার মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন ঘটনার তদন্তের দাবি তুললেন। বালি মাটি পাচারের তদন্তের দাবিতে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করলেন মালদার পুলিশ সুপার, জেলা শাসক এবং ডিএল এন্ড এলআরও’কে। প্রশাসনিক তরফে এই নিয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও অভিযোগকারীদের অভিযোগ পত্রে সরকারি শীলমোহর দিয়ে অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকার করেছে।
এই প্রসঙ্গে অভিযোগকারীদের অনেকের সঙ্গে অনিরুদ্ধ ঘোষ নামে একজন ক্ষোভ করে করেন।তিনি বলেন,” কিছুদিন আগেই বামনগোলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়িতে মাইক বেঁধে প্রচার করা হয়েছিল অবৈধভাবে বালি,মাটি পাচারের বিরুদ্ধে। মাইকে ঘোষনা করা হয়েছিল, অবৈধ ভাবে ট্রলি, লরি করে বালি, মাটি পাচার করা যাবে না। প্রশাসনের নজরে এলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অথচ বামনগোলার হরিশঙ্করপুর থেকে নালাগোলা হয়ে পাকুয়াহাট এবং ১২ মাইল পর্যন্ত বালি, মাটি ভরতি ট্রলি, লরি রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দিনের আলোয় কখনো কখনো বালি, মাটি ভরতি ট্রলি ও লরি চলাচল করলেও অধিকাংশ সময় সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয়ের আগে পর্যন্ত বেশি চলাচল করছে। অথচ প্রশাসনের নজরে পড়ছে না এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সবরকম অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ করছেন। তাই তাঁরা মানুষজনদের সাথে নিয়ে মালদার পুলিশ সুপার, জেলা শাসক এবং ডিএল এন্ড এলআরও’র কাছে অভিযোগ দায়েরর করা করলেন অবৈধভাবে বালি,মাটি পাচারের বিরুদ্ধে। তাঁরা চান, অভিযোগের তদন্ত করে প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *