চক্রব্যূহে ভারত তথা বিশ্ববাসী : তন্ময় সিংহ রায়।

0
2082

সারা বিশ্ব বন্দী মারণ করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসে!
ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স ও ইরান প্রভৃতিতে লাশের জঙ্গলে প্রিয়জনদের চিরতরে হারাবার হাহাকার ও বুকফাটা আর্তনাদ আজও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যম জুড়ে!
দিকে দিকে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত! যানবাহন, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, স্কুল-কলেজ, দোকান-বাজার সব বন্ধ!
দেশে দেশে জারি করা হয়েছে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতি!
জনশূণ্য এক নিস্তব্ধতার অন্ধকারে ডুবে আছে যেন সমস্ত রাস্তাঘাট! আকাশে-বাতাসে যেন অবাধে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক! নাম ‘করোনা ভাইরাস!’
দেশ-বিদেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে-চুরে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার!
দুঃস্থ অসহায়গুলোর ভবিষ্যত তলিয়ে যেতে চলেছে অথৈ জলে!
জাতিসংঘের মহাসচিব ‘অ্যান্তোনিও গুতেরেস’ জানান, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই বিধ্বংসী করোনার মহামারি রূপ!’
তিনি এও জানান যে, ‘এই মহামারির কারণে বিশ্বে এমন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে, সম্ভবত সাম্প্রতিক অতীতের কোনো ঘটনাই যার সমতুল্য নয়!’

২০১৯-এর ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহর থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণের স্ফুলিঙ্গ, দাবানলের আগুনের মতন ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র পৃথিবীতে।
তাঁদের দাবি অনুযায়ী উহান-এর ‘সি ফুড মার্কেট’ থেকেই ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ!
যদি তাই হয়, কোন প্রাণীর থেকে, তা আজও প্রমাণিত নয় কেন? ভবিষ্যতে এর সত্যতা প্রমাণ করে দিক রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং।
চীনের ডাক্তার (অপথালমোলজিস্ট) ওয়েনলিয়াং-এর মৃত্যু কি করোনা সংক্রমিত হয়েই হয়েছিল? সারা দুনিয়া জুড়ে উঠছে এখন এই প্রশ্নের ঝড়!
যদি সত্যিই তাই হয়, DNA টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ করে বিশ্ববাসীর সন্দেহকে দূর করে দিক চীন সরকার।
এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুতে পরিস্থিতি যেতে চলেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে, এমত অবস্থাতে সচেতন করার জন্যে ওয়েনলিয়াং-কে শি জিনপিং প্রথমেই বাধা দিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিলেন কেন?
কেন প্রথমেই এটিকে তিনি ‘Criminal offences’ হিসাবে নিয়েছিলেন?
তিনি যদি প্রতিবেশী সব দেশ তথা বিশ্বের মঙ্গলই চেয়ে থাকেন তবে কেন এমন আচরণ?

প্রায় সমগ্র পৃথিবীর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সার্চ ইঞ্জিন ব্রাউজার হিসাবে ‘গুগুল’, ‘ক্রোম’ এইসব নিশ্চিন্তে ব্যবহার করে থাকেন যেখানে, সেখানে চীন তার দেশের মধ্যে ‘ইউসি ব্রাউজার’ ও ‘বাই দু’ ব্যবহার করেন।
উপরন্তু ভারত-বাংলাদেশ সহ কয়েকটি দেশে তাদেরই ইউসি ব্রাউজার ছড়িয়ে আছে, কেন?
শুধু কি ব্যবসায়ীক লাভ তোলার উদ্দ্যেশ্যে?
না আরো অন্য কিছু?
বিশ্বের প্রায় ১৮০ টা দেশ জুড়ে যেখানে হোয়াটস অ্যাপ ইউজার ২ বিলিয়ন, সেখানে চীন ব্যবহার করে শুধুমাত্র ‘উইচ্যাট।’
অনলাইন কেনাকাটায় বিশ্বের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যামাজন।’
সেখানে চীনবাসীকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়
‘আলিবাবা।’
শুধু তাই নয়, প্রায় সারা পৃথিবীতে নির্দ্বিধায় ব্যবহার করা হয় ‘জি’মেইল’ সেখানে চীনে ব্যবহৃত হয় ‘কিউ কিউ মেইল।’
স্যোশাল মিডিয়ার জনপ্রিয় ও বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম হিসাবে উঠে আসে একটি নাম ‘ফেসবুক।’
২০১৯-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা বিশ্বে ২.৫ বিলিয়ন ফেসবুক ইউজার, সেখানে চীনের স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট, ‘রেনরেন ডট কম/রেনরেন।’ আর এভাবেই ‘টুইটার’-এর পরিবর্তে ‘ওয়েইবো’ ও ‘ইউ-টিউব’- এর বদলে ‘ইউ’কো’ ব্যবহার করে থাকেন সে দেশের মানুষজন, কেন?
বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রের প্রতিই কি বিশ্বাস নেই সে দেশের সরকারের?
নিজের দেশের সুরক্ষা, প্রতিটা দেশই চায়, তা’বলে এত গোপনীয়তা কেন?
জৈব অস্ত্র কর্মসূচির বিষয়টিই বা চীন সরকার এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আসছে কেন?
যদি বিশ্ববাসীর এই ধারণা ভুল হয়, নিজের দেশের সম্মানার্থে তা ভুল প্রমাণ করতেই বা মরিয়া নয় কেন?
১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত,
আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে আসছে ‘Who.’
জাতিসংঘের একটি সহযোগী সংস্থা ও তার কার্যকলাপের জন্যে সারা বিশ্বের মানুষের অগাধ বিশ্বাসের জায়গাটিতে অবস্থান করে আছে এই সংস্থাটি।
Who-এর ডিরেক্টর জেনারেল ‘টেড্রস আধানম’ও শি জিনপিং-কে সমর্থন করে প্রথম দিকেই জানিয়েছিলেন যে এই ভাইরাস, মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়না।
২০২০-র জানুয়ারি মাস নাগাদ চীন জানায় যে, ‘আমরা এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।আর এ মন্তব্যেও আধানম, চীনের হ্যাঁ-তেই মেলায় হ্যাঁ, কেন?
চীনের ভোটেই তিনি এই পদ পেয়েছেন তাই?
নাকি আরো অন্য কিছু?
এমন এক আসন্ন(সেই সময় অনুযায়ী) ভয়াবহ পরিস্থিতিতে Who-এর মতন একটি সংস্থার মহাপরিচালকের ভূমিকা এমন হওয়া কতটা যুক্তিসংগত?
লক্ষ-কোটি বিশ্ববাসীর জীবন না রাজনীতি কোনটা হওয়া উচিৎ আগে?
ভবিষ্যতে কতটাই বা তিনি বজায় রাখতে সক্ষম হবেন এ বিশ্বাসের মর্যাদা?
চীনে কেউ তার নিজের ইচ্ছায় রিপোর্ট ফাইল তৈরি করতে পারেননা, মিডিয়া ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সেখানে ততটুকুই, যতটুকু সরকার তাঁদেরকে বেঁধে দেবে।
অর্থাৎ চীনের প্রতিটি সাংবাদিককে কাজ করতে হবে সরকারের পক্ষেই।
প্রধানত ‘China mobile’, ‘China Unicom’ ও ‘China Telecom’ এই তিন ধরণের SIM Card সে দেশের জনগণ ব্যবহার করেন। এছাড়াও আছে আরো কয়েকটি Company.
বিভিন্ন তথ্য পরিসংখ্যানে উঠে আসছে, ২০২০-র জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ গ্রাহককে সক্রিয় অবস্থায় পাওয়া যায়নি। বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে মোবাইলগুলো বলেও বেশ কিছু যায়গায় শোনা /জানা যাচ্ছে।
তাহলে চীনের দেওয়া করোনা ভাইরাসে মৃতের সরকারী তথ্য কি ভুল?
২০২০-র জানুয়ারি থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার, লকডাউন ইত্যাদি উহান-সহ চীনের অন্যান্য রাজ্যগুলি ছিলো কম-বেশি অশান্ত! হঠাৎ-ই যেন সব কেমন সুস্থ ও শান্ত হয়ে গেল!
ফিরে এল পূর্বের স্বাভাবিক জনজীবন।
চীনের ‘হুবেই’ প্রদেশের ‘উহান’ শহর থেকে ‘সাংহাই’-এ যেতে সময় লাগে ৯ ঘন্টার কাছাকাছি। যেখানে ২.৪-৫ কোটি মানুষের বাস। উহান থেকে বেইজিং-এর রাস্তা অনুযায়ী দুরত্ব ১১৫৪.২ কিমি মতন, জনসংখ্যা ২১.৫৪ মিলিয়ন।
এছাড়াও হুপেই, হাইনান, কুয়াংতুং, হুনান, সিছুয়ান, চচিয়াং, চিয়াংসু, শানতুং, ফুচিয়েন প্রভৃতি প্রদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার যে মাত্রায় দেখা গেছে তার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ মাইল দুরের আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ইরান, প্রভৃতি।
উহানে রীতিমত বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর, কল-কারখানা, বাজার, বিভিন্ন Shopping mall চালু হওয়া শুরু হয়েছে।
Social distance-এখন আর প্রায় সেখানে নেই বললেই চলে।
‘UNRESTRICTED WARFARE'(China’s master plan to destroy America)-নামক একটি বই চীনে প্রকাশিত হয়েছিলো ২০০২ সালে যার সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু এমন যে ‘আমেরিকা আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিধর একটি রাষ্ট্র। আমরা সরাসরি এদের যুদ্ধে হারতে পারবোনা, হারাতে গেলে কিছু ছল-চাতুরী ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে।’
কখনও সার্স আবার কখনও কোভিড-১৯
প্রতিবারেই দুর্ঘটনা?
‘সার্স’ ভাইরাসে আশানুরূপ ফল হয়নি বলেই কি পুনরায় এই কোভিড-১৯-এর জন্ম?
বিভিন্ন সাইট থেকে জানতে পারা গেল যে, নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর সাথে সার্স ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

Individual বা Corporate sector-এর ক্ষেত্রে অথবা যে কোনো সমস্যায়, সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে যায় চীন দেশের জনগণ।
ক্ষেত্র বিশেষে একটি দেশের জনগণের United হওয়াটা নিশ্চিন্তে বহন করে দেশপ্রেমের পরিচয়। এটা অনুসরণ করা উচিৎ প্রতিটি রাষ্ট্রকেই কিন্তু, এখানে ঘ্রাণশক্তিকে বাড়িয়ে দেখুন তো আত্মকেন্দ্রিকতা ও চরম গোপনীয়তার কোনো গন্ধ পান কিনা?
Electronic equipment, Smartphones, Plastics, Pharmaceutical products, Refined petroleum, Iron and steel, Precious stones and metals, Automobiles প্রভৃতি মিলিয়ে চীন, প্রতি বছর ৭০-১০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করে শুধু ভারতে।
এবং প্রতি বছরই এক বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করে চীন ভারত থেকে।
এমনকি এ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়েও ভারতে ব্যবহৃত ৬০-৭০% Mask ও ডাক্তারদের ব্যবহার করা ৮০% -এর কাছে P.P.E( Personal Protective Equipment) প্রভৃতি-এর ব্যবসা করছে চীন শুধু ভারত থেকে।
এছাড়া ইউরোপ আমেরিকায় বিভিন্ন ব্যবসা তো আছেই।
এমন পরিস্থিতিতে, পুরো বিশ্বজুড়ে চীন এখন পর্যন্ত তাদের সাথে সখ্যতা বজায় রাখা দু-একটি দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে তাও তুলনামূলকভাবে সামান্য।
অথচ তাদের জন্যেই গোটা বিশ্বের অবস্থা আজ মর্মান্তিক !
নিজের দেশের গোপনীয়তা জীবন দিয়েও বজায় রেখে চলেছে চীন। অন্য কোনো দেশকে সেখানে নাকটি পর্যন্ত গলাতে দেয়না, এদিকে নানা অজুহাতে অন্য যে কোনো দেশে ঢুকে আধিপত্য স্থাপন করেছে ও করছে তারা।
Oppo, Vivo-র আধিপত্যের প্রভাবে আমাদের ভারত তথা অনেক দেশের কোম্পানির অবস্থা বেহাল!
Oppo তার ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে ৪০-৫০টা দেশ ও অঞ্চলে।
৬ টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ৪ টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র ইতিমধ্যে স্থাপন করে ফেলেছে।
লন্ডনে প্রতিষ্ঠা করেছে ‘গ্লোবাল ডিজাইন সেন্টার।’
Vivo-র ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম কিছু নেই।
চীন যে মোবাইল কোম্পানিগুলির মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশে বানিজ্য বিস্তার করেছে সেগুলির মধ্যে উল্লেখ্য কয়েকটি হল, Vivo, Oppo, Lenovo, Xiaomi, Haier, Gionee, Sagetel প্রভৃতি।
চীনের মতই আমাদেরকেও হওয়া উচিৎ সংঘবদ্ধ।
আজ থেকে বছর দশ কি পনেরো আগেও ভারত-সহ অন্যান্য কিছু দেশ চলেছে চীন-দ্রব্য ছাড়াই।
তবে বিশ্বকে বাঁচাতে ‘চীনা দ্রব্য বয়কট’-কে কার্যকরী করাটা কি ভুল কিছু হবে?
চীন থেকে Export করা বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর কিছুটা/অধিকাংশ কি কোনোভাবেই ভারত-সহ অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোতে উৎপাদন করা সম্ভব নয়?
খুব সুক্ষ্ম বুদ্ধিকে হাতিয়ার করে আমাদেরকে কি ‘চীন নির্ভরশীল’ করে তুলছে না তো সে দেশ?
কতদিন? ও কতকিছু? সমঝোতা করবে বিভিন্ন দেশ? এই সমঝোতাকেই বারেবারে চীন অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।
আর্থিক চুড়ান্ত সমৃদ্ধিই এদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব জাহির করার এক প্রধান কারণ? আর তা থেকেই আশঙ্কাজনকভাবে ভেসে উঠছে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ ক্রিয়াকৌশল!

যখন সময় আসে দেশ-মায়ের স্বার্থ ও সম্মান রক্ষা করার, তখন নিজেদের স্বার্থ আপাতত নয় নাই দেখলাম।
রাজ্য/কেন্দ্র সরকার কিংবা জাতিসংঘের প্রতি অগাধ আস্থা, শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে পাশাপাশি এ সংগ্রাম হোক প্রতিটি ভারত তথা বিশ্ববাসীর আত্মসম্মান ও অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম!
ডারউনের ‘Struggle for existence!’ জেগে উঠুক ভিসুভিয়াস হয়ে।

১৯৩৬ সালের ১৫ ই আগষ্ট অলিম্পিক হকি ফাইনাল-এ রূদ্ধশ্বাস লড়াই হচ্ছে জার্মানি বনাম ভারত। ভারতের অধিনায়ক, হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদ যখন তাঁর পুরো দল নিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে জার্মানিকে। সে সময়ে জার্মানির তাবড় তাবড় নেতার সাথে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন, স্বয়ং এডলফ হিটলার।
ধ্যানচাঁদের খেলায় মন্ত্রমুগ্ধ হিটলার পরে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জার্মানিতে এক উঁচু পদের সরকারী চাকরির প্রস্তাব দিলে তিনি(ধ্যানচাঁদ) তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন।
প্রকৃত দেশভক্তি ও প্রেমের কাছে নিজের স্বার্থ সর্বোপরি জীবনকে তুচ্ছ করার এ হেন ঘটনার নিদর্শন ভারতেই রয়েছে ভুরিভুরি। শুধু দরকার স্মৃতিচারণের মাধ্যমে সঠিক উপলব্ধি।
বলাবাহুল্য এ ক্ষেত্রেও যদি ‘লক ডাউন’ অমান্য করায় পুলিশকর্মীদের মতন লাঠি চালিয়ে বা কার্ফু জারী করে অথবা বিভিন্ন সংবাদপত্র থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় মুহুর্মুহু বিজ্ঞাপন দিয়ে সচেতনতা বজায় রাখতে হয় তবে, ভবিষ্যতের অকল্পনীয় ধ্বংসলীলা দেখার জন্যে বোধ করি প্রস্তুত থাকতে হবে সকলকেই।

ভুল-ত্রুটি মার্জনা করবেন।