ভারতের করোনা যুদ্ধে চিকিৎসা জগৎকে সাহায্য করবে রোবোর্ট।

0
816

সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ-করোনা সংক্রমণে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোজই প্রায় আক্রান্ত হচ্ছেন। রুগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমন এড়াতে এবার যন্ত্র মানবের উপর ভরসা করতে চলেছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স। এমসের দিল্লী ও ঝাড়ঝড় এই কেন্দ্র দুটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজিয়ান্স সম্মৃদ্ধ রোবোর্ট আইম্যাপ ৯ ও এলফ নামক দুটি রোবোর্ট ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। রোবোর্ট দুটি বানিয়েছে মিলাগ্রো নামক একটি রোবোর্ট প্রস্তুতকারক কোম্পানী। এলফ রোবোর্ট টিতে রয়েছে লাইট ডিটেকশন এন্ড রেনজিং সিস্টেম এবং স্লাম অর্থ্যাৎ সাইমালটেনিয়াস লোকালাইজেশন এন্ড ম্যাপিং টেকনোলজি এর ফলে রোবোর্ট নিজের চলার পথে বাধা দূর করে সহজেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঘোড়াফেরা করতে পারবে। রোবোর্ট টিতে ৬০ টি সেন্সর রয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ২.৯ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারবে। ৯২ সেন্টিমিটার উঁচু রোবোর্ট টি বিল্ট ইন থ্রিডি এইচডি ক্যামেরার মাধমে ডাক্তাররা আইসোলেশন ওয়ার্ড এর সব কিছু দেখতে পাবেন।রয়েছে ১০ ইঞ্চি এল ই ডি স্কিন যার মাধ্যমে রোগীকে নির্দেশও দিতে পারবেন ডাক্তাররা। করোনা সংক্রমণের মাত্রা ও পরিমাপ করতে পারবে রোবোর্ট।
অন্য রোবোর্ট আই মাপ ৯ অবশ্য ফ্লোর ক্লিনার রোবোর্ট। এটি খুব সহজেই আইসোলোশন ওয়ার্ড এর মেঝে সানাটাইজার করতে সক্ষম। সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড সলিউশন ব্যাবহার করে মেঝেতে থাকা করোনা ভাইরাসের জীবাণু বিনষ্ট করতে সক্ষম।
এর আগে ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা জেলা প্রথম করোনা রুগীদের সেবার জন্য রোবোর্ট এর কথা ভেবেছিল। ক্যামেরা ও স্পিকারের মাধমে এই রোবোর্ট সহজেই আক্রান্ত রোগীদের কাছে গিয়ে তাদের খাবার ওসুদ দিতে পারবে। স্পিকারের মাধমে তাদের সাথে কথা ও বলতে পারবে রিমর্টের মাধমে অপারেট হবে রোবোর্ট । ক্যামেরার মাধমে পুরো সিস্টেম পরিচালনা করা সম্ভব। ওয়াটারপ্রুফ হওয়ার জন্য সানাটাইজার করা ও সম্ভব। সংক্রমণ এড়াতে যন্ত্র মানবের উপর কি ভরসা করতে চলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞান।