আলোর দিশারী বলরাম করণ : ইলা হাইত দে।

0
891

“আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে”।

আজ বিশ্ব পিতৃদিবস। সকল পিতাকে জানাই সম্মান ও শ্রদ্ধা। সবার মাঝে অন্ত্যদয় অনাথ আশ্রমের কর্ণধার বলরাম কারণ কে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। “বাবা” শব্দটি দুটি অক্ষর ।কিন্তু অর্থ অন্তহীন।শুধু এটুকু বুঝি একটা শক্ত হাত – যে কোনো অবস্থাতেই ছেড়ে দেবে না।পরম মমতা়ময় মুখ ভেতরে দুমড়ে মুচড়ে যাবে, বাইরে হাসি বজায় রেখে আমাদের সব আবদার মেটানোর চেষ্টা করবে।নিজে না ঘুমিয়ে আমাদের নিশ্চিন্ত ঘুমের ব্যবস্থা করে দেবেন। বলরাম বাবু মনে হয় এই সব বিশ্লেষণের অনেক উর্দ্ধে। গাছ থেকে ঝরে পড়া কুঁড়ি, যেগুলো আমরা দেখেও দেখি না, উনি পরম মমতায় নিজের কাছে আগলে নিজের সবটুকু দিয়েফুল ফোটানোর ব্যবস্থা করেন।

হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, এই কুঁড়ি গুলি হলো সমাজের পিতৃমাতৃহীন, পরিচয়হীন, লাঞ্ছিত অবহেলিত শিশু। আমরা নিজেদের একটি দুটি সন্তান কে ঠিকমত লালন করতে গিয়ে কত সময় ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। কিন্তু উনি এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। এক সঙ্গে প্রায় ৮০ টি ছেলে মেয়ে থাকে। কত সুশৃঙ্খল ওরা, কত বিনয়ী। প্রতি মুহূর্তে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।বিশেষ করে এই সময় তো আরো।করোনা, লকডাউন, আমফানের প্রভাব ওনার আশ্রমে ভীষণ ভাবে পড়েছে, যা শুধু চোখে দেখে বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু তাও হাসি মুখে ছেলেমেয়েদের যতটা ভালো রাখা যায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

আসুন না এই শুভদিনে একটু ওনার পাশে থাকি।মাসে একদিন মাছ না বা খেলাম।বছরে একটা দুটো ভালো পোশাক না বা পারলাম। খুব কি কিছু এসে যাবে? কিন্তু ওই অসহায় ছেলে মেয়ে গুলোর মুখের নির্মল হাসি মনটা কে ভালো লাগায় ভরিয়ে দেবে।সব বাবা রা ভালো থাকুন।