আশির্বাদের অভিশপ্ত বিবর্তন : সৌগত রাণা কবিয়াল।

0
522

সময়টা বড্ড অপদার্থ খেলছিলো..
ইতিহাসের পাতায় তখন দগদগে ঘা..
সেখানে ‘বর্ণ-লিঙ্গ-ধর্ম-সমাজ’ এর অশ্লীল অসুস্থতা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো..
কিন্তু অদ্ভুতভাবে কেও সেটা দেখতে পাচ্ছিলো না..
প্রাচ্যের প্রাচুর্যময় শিক্ষা নিয়েও বধিরতায় নিমগ্ন এক আঁটকুড়ে জাতি..
অথচ যে জাতির সভ্যতায় একসময় পৃথিবীতে ভোরের আলো জাগতো…!

‘পরিচয়’ বলে একটা শব্দ..
একজন মৃদুভাষী মানুষ প্রচন্ডরকমভাবে ছুড়ে দিলেন সেই অন্ধকার সময়-উৎসবের শরীর জুড়ে…!

তখনও সাদা থানের রমরমা ব্যবসায় দারুণ জোড়..
কাঠের সাশ্রয়ে উন্মুখ মৃত শরীর, জীবিত প্রাণের সহবাস দহনে….!

‘পরিচয়’ নিয়ে মানুষটা শক্ত মুখে এগিয়ে গেলেন..
সময় পেছনে পড়ে রইলো…!

মানুষ ফিরে পেলো তার ভাষায় মায়ের গায়ের মিষ্টি গন্ধ..
নারীর সঙ্গে অদ্ভুত সুখের হয়ে জুড়ে গেলো দেবীর শক্তি..
অসহায় ভীত ক্ষুদার্ত চোখগুলো নিজেদের খাবারের জন্য মাথা তুলে চাইতে সাহস করলো…
বিবর্ণ বিবর্তনে অসহায় মানুষ ফিরে পেলো তার আপন আরশি..!

তারপরের গল্পটা…???

বছরের উপর অতীত চিহ্ন পড়েছে তারপর অনেকগুলো..
ঘরের দোরগোড়ায় বসে সমাজের নতুন পান্ডুলিপিও লেখা হয়ে গেছে অনেক…
‘নারী হলো দেবী..পুরুষ পূজারী..সমাজ হলো সাম্যবাদী’..;

কিন্তু অদ্ভুত ভাবে সেই মানুষটার অন্ধকার মুখ শহরের পাশ্চাত্য আলো ছাপিয়ে ফুটে উঠছে বারবার….
বিশেষ তিথিতে গলায় স্তূপাকার ফুলের ভারে মানুষটার প্রিয় ‘পরিচয়’ শব্দটা কোথাও যেন হারিয়ে গেলো…!

আধুনিক জীবন একবারও চোখ মেলে বুঝতে চাইলো না..
কি পেলো..? আর কিইবা হারালো…?

নিচের দিকে তাকিয়ে শুধু সেই মানুষটাই স্পষ্ট টের পেলো..
‘ তার পরিচয়-এর সঠিক অর্থটা এখনও ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি এই চকমকি সুখী সভ্যতার কৃতদাসেরা..
মুক্তির অর্থ এরা ভিন্ন কিছু ভেবেছে হয়তো…
বোকা..বড্ড বোকা হয়ে গেলো বুঝি অযোগ্যরে এই বর্ণ দান’…!