একবিংশ শতকে ভাষা মার উদ্দেশে চিঠি : পূজা নস্কর।

প্রিয় ভাষা মা,
জানো,আমি তোমার যোগ্য সন্তান হয়ে উঠতে পারিনি,
বর্ণের পর বর্ণ সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করি।
কী লিখি যানি না!
অগাধ বানান ভুলের সমষ্টি অর্থ পাল্টিয়ে দেয়।
আমরা মূর্ধা ‘ণ’ আর দন্ত ‘ন’ এর সঠিক ব্যাবহার করতে যানি না,
তোমার তিন ‘স’ কোথায় বসে বোঝা বড়ো কঠিন,
র-এর উচ্চারণ আজও ঠিক মতো করতে পারি না,
তবুও তুমি আমার মাতৃভাষা,
আমার ভাষা মা।
জানো মা,
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই তোমার সন্তান দের বার্তালাপে,
নিজেকে বড়ো বেমানান মনে হয়।
আজও যেখানে বাংলা শিখতে পারলাম না,
আর ওরা কত সুন্দর ভাবে তোমার ভাষায় অন্যের সাহায্য নিয়ে নেয়।
জানো মা,
ওরা একটা বাংলা বাক্য বলতে গেলে কত গুলো ইংরাজি ও হিন্দি শব্দের সংমিশ্রনে বলে ফেলে।
কিছুই বুঝিনা শুধু বোকার মত ফ্যাল ফেলিয়ে তাকিয়ে থাকি।
জানো মা,
ওরা নিজেকে বড়ো উচ্চ মনে করতে গিয়ে অজান্তে তোমাকে অপমান করে ফেলে।
আবার যে তারা অন্য ভাষাকে অপমান করে ফেলে নিজেরা বোঝেও না।
ভাষা মা তুমি একটু বাংলা শেখাও না!
এই শহর তলিতে বাংলার বড়ো অভাব।
আমরা গাঁয়ে যেটা বলি বুঝেও হয়তো বোঝেনা,
আর ওদের ভাষা আমার বোধোগম্য হয় না।
আজ আমাদের সংস্কৃতিতে বিদেশী আনার ছড়াছড়ি,
আমরা সবাই বাঙালি হয়ে উঠি বিশেষ কয়েকটি দিনে।
প্রেক্ষা গৃহের বাইরেই বেরিয়ে ভুলে যাই ভিতর কার কথা।
আমি হয়তো ঝুলে আছি বিশ্বায়ন আর বাঙালীয়ানার মাঝে।
মা আমি বাঙালি হতে চাই,
আমায় বাঙালি করে তলো।
ইতি.
তোমার অসহায় নীর্বোধ সন্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *