রক্তঝরা ফাল্গুন : অমিতাভ মীর।

0
879

সেদিন ছিলো রক্তঝরা আট-ই ফাল্গুন, একুশে ফেব্রয়ারি,
মিছিল আর শ্লোগানে প্রকম্পিত ঢাকার রাজপথ;
আকাশে-বাতাসে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তোলে একটাই দাবী-
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।

পুলিশ বেষ্টনি ভেদ করে এগিয়ে চলেছে সে মিছিল,
পুলিশের থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল থেকে দ্রিম দ্রিম শব্দে ছুটে এলো গুলি,
অব্যর্থ নিশানা, মুহুর্তেই লুটিয়ে পড়লো রাজপথে;
প্রিয় ভাই রফিক, জব্বার, বরকত, সালাম, শফিউল।

ভাষাশহিদের রুধির রঞ্জিত পিচঢালা রাজপথ,
বিস্ময়ে বিহ্বল রাস্তার দু’পাশের গুলমোহর বৃক্ষ,
রক্তের লালিমা নিয়ে গুলমোহরের প্রস্ফুটিত ফুল;
ভাষাশহীদের আত্মত্যাগের মহিমা ধারণ করেছে বুকে।

মাতৃভাষার অপমান সয় কি কোন মায়ের সন্তান?
সয়নি বাঙলা মায়ের দামাল ছেলেরা সে অপমান,
প্রতিবাদের অনলে জ্বলে করেছে নিজ জীবন দান;
ওরাই মায়ের ধন্য ছেলে, বাংলা মায়ের সূর্য সন্তান।

বায়ান্নর একুশে ফেব্রয়ারীর রক্তাক্ত দ্রোহের পথে,
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের গৌরবে-
মাতৃভাষা বাংলা, পেয়েছে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা;
বিশ্বের দরবারে বাঙলা দাঁড়িয়েছে তুলে মাথা।

বিশ্ব জুড়ে এমন কোন জাতির দিতে পারো কি সন্ধান,
যারা মাতৃভাষার জন্যে করেছে আন্দোলন,
করেছে জীবন দান?
বাঙালী ছাড়া অন্য কোন জাতি এ বিশ্বে-
পাবে না কো আর খুঁজে,
তাই তো ‘অমর একুশ’ পেয়েছে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সম্মান।
★★★★★★★
©অমিতাভ মীর
চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ।